শোভাবাজার রাজবাড়ির ভার্চুয়াল পুজো নিয়ে মন খারাপ 'ভিড়-চুয়াল' বাঙালির
ভার্চুয়াল-স্পেসে বাঙালি দিন দিন দিব্যি দড় হয়ে উঠছে ঠিকই। কিন্তু অতি বড় টেকস্যাভি প্রযুক্তিপ্রেমী বাঙালিও কি ভার্চুয়াল পুজোয় আকৃষ্ট হবে?
নিজস্ব প্রতিবেদন:ভার্চুয়াল-স্পেসে বাঙালি দিন দিন দিব্যি দড় হয়ে উঠছে ঠিকই। কিন্তু অতি বড় টেকস্যাভি প্রযুক্তিপ্রেমী বাঙালিও কি ভার্চুয়াল পুজোয় আকৃষ্ট হবে?
খুব সম্ভবত, না। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে চাইবে না সারা বছর তীর্থের কাকের মতো পুজোর দিনগুলির জন্য বসে থাকা বঙ্গতনয়-তনয়ারা। উল্টে তারা সুকুমার রায়ের সুরে বলে উঠবে, আলু আর আলুবোখরা কি এক? ভার্চুয়াল পুজো আর ভিড়-চুয়াল পুজো কি এক? জল আর জলপাই কি এক বস্তু?
পুজোর সময়ে উত্তর কলকাতার এই বিশেষ পুজোটি না দেখেই যদি প্রতিমাদর্শন থামিয়ে দেন, তাহলে নির্ঘাৎ আপনি বন্ধুদের কাছে ঠাট্টা-বিদ্রুপের স্বীকার হবেন। কোন পুজোটি? না, এর উত্তর দেওয়ার জন্য কোনও পুরস্কার নেই। শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো না দেখা মানে পুজোর সময়ে একটা বিগ ইভেন্ট থেকে বঞ্চিত থাকা।
এবং শুধু বিগ ইভেন্ট-ই নয়। একযোগে ঐতিহ্য, বনেদিয়ানা, সাবেকিয়ানা, সংস্কৃতির এক মহার্ঘ মিশেল থেকে সটান বঞ্চিত থেকে যেতে হয় পুজোর দিনগুলিতে শোভাবাজার রাজবাড়ির আঙিনায় গিয়ে না দাঁড়াতে পারলে। বাঙালি সেটা কিছুতেই হারাতে চাইবে না। অথচ, এ বার ঠিক সেটাই হজম করতে হবে পুজো-হুজুগকামী এ যুগের বাঙালিকুলকে। কেননা, শোভাবাজার রাজবাড়ির তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে করোনা অতিমারির এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে তারা তাদের পুজোবাড়ির দরজা এ বার দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখছে। তবে পুজোর ভার্চুয়াল ভার্সান দেখা যাবে। হিডকোর সহযোগিতায় সেটি দেখতে পারবেন প্রতিমা দর্শনার্থীরা।
করোনাকালীন সুরক্ষাবিধি মেনে চলার দায়ে অবশ্য এক অংশের বাঙালি বাধ্য় হয়েই এবং হয়তো খানিক খুশি মনেই মেনে নেবেন এই সিদ্ধান্ত। কেননা, করোনাকে হারিয়ে দিনের শেষে তাকে তো জিততে হবেই।