'বিরোধী নেতাকে বলব', এবার Suvendu-কে নিশানা Rajib-র

তৃণমূলত্যাগী নেতার টুইটে জল্পনা তুঙ্গে।

Updated By: Jul 7, 2021, 06:34 PM IST
'বিরোধী নেতাকে বলব', এবার Suvendu-কে নিশানা Rajib-র

নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দু'জনেই।  যুবমোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে যখন শুভেন্দু অধিকারীর মুখ খুললেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, তখন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দিয়ে 'বিরোধী নেতা'কে নিশানা করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বার্তা দিলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা আক্রমণ না করে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মুক্তির জন্য পেট্রল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্য়হ্রাস করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত'। 

খাতায়-কলমে এখনও তিনি বিজেপিতে। কিন্তু ভোটে ফলপ্রকাশের পর থেকে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, কুণালের ঘোষের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে 'সৌজন্য সাক্ষাত্‍'-ও করে এসেছিলেন। সূত্রের খবর, কুণালের কাছে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন রাজীব। দিন কয়েক আগে যখন মাতৃহারা হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তখন মন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক।  'ঘর ওয়াপসি'র জল্পনা বাড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবার নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। 

আরও পড়ুন: আজ বাবুল-দেবশ্রী খারাপ হয়ে গিয়েছে, মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়ায় 'আক্ষেপ' Mamata-র

এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেছেন,  যাঁর নেতৃত্বে এবং যাঁকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে বাংলার মানুষ ২১৩টি আসনে তাঁর প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, সেই মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা আক্রমণ না করে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মুক্তির জন্য পেট্রল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্য়হ্রাস করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত'।

 

এদিকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আবার দলের যুব মোর্চার সভাপতি থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মতানৈক্য়ের কথা Zee ২৪ ঘণ্টার কাছে স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি। বস্তুত, ফেসবুক লাইভ করেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদও।

আরও পড়ুন: দিলীপদাকে নিয়ে দুঃখ হয়, একাই লড়ে গিয়েছেন, আজ যেন অবহেলিত, উপলব্ধি Firhad-র

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর টুইটে গেরুয়াশিবির কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, 'কেমন যেন পোড়া পোড়া গন্ধ। দমবন্ধের ভাব। যুবনেতা থেকে বাহুবলী, নেত্রী থেকে ডাক্তারবাবু, ভারী উদাসী মন। আর আদি বিজেপি? জাদুঘরে আলাদা গ্যালারিতে স্মারক হিসেবে থাকুক। শপথ দেখে অনেকে বিপথে না যায়!'

 

এসবের মাঝেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে থেকে ইস্তফা দিলেন বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী। বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামাণিক, সুভাষ সরকার ও জন বার্লা।

.