এই অফিসারই তো মেডেল পেতে কেন্দ্রের লোক ধরেন: সায়ন্তন
জগদীপ ধনখড়ের হয়ে সওয়াল করে রাজ্য পুলিসের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বারাকপুরে পুলিস কমিশনারেটের পুলিস কমিশনার মনোজ বর্মাকে রাজ্যপালের ভর্ৎসনা নিয়ে ধনখড়ের পাশে দাঁড়ালেন সায়ন্তন বসু। জগদীপ ধনখড়ের হয়ে সওয়াল করে রাজ্য পুলিসের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন। তাঁর দাবি,বাংলার পুলিস বালি, গরু পাচারের টাকা তুলে তৃণমূলের ফান্ডে দিতে ব্যস্ত।
সায়ন্তন বসু বলেন,''সংবিধান মানছে না রাজ্য প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীই নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন, কাউকে সম্মান করবেন না। এই ধরনের অফিসারই আবার পুলিশ মেডেল পাওয়ার জন্য কেন্দ্রের লোক ধরার চেষ্টা করেন। মনোজ বর্মা রাজনীতির ঘুটি হয়ে গিয়েছেন। উর্দির সম্মান রক্ষা করা উচিত।'' গোটা বিষয়টি কেন্দ্রকে রাজ্যপালের জানানো উচিত বলে অভিমত সায়ন্তনের।
মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে বারাকপুরে গান্ধীঘাটে সস্ত্রীক শ্রদ্ধা জানাতে যান জগদীপ ধনখড়। সেখানে ছিলেন বিদ্যুতমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের কমিশনার মনোজ বর্মা-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সেখানেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর গাড়িতে ওঠার আগে হঠাচ্ মনোজ বর্মার উদ্দেশে রাজ্যপাল বলেন,''আপনি সামনের সারিতে বসে খবরের কাগজ পড়ছেন! কাজে মনোযোগ নেই। অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বিবেচনা করলে আপনার আচরণ একেবারেই সঠিক নয়।''
ঘটনাস্থলে উপস্থিত মন্ত্রী শোভনদেব বলেন, এটা ওনার পূর্বপরিকল্পনা। এরকম আচরণ করতে পারেন, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। হাতজোড় করে নমস্কার করেছি। উনি প্রতি নমস্কার পর্যন্ত করলেন না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে এসেছিলেন। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে আসেননি।'' লোকসভা ভোটের পর বারাকপুরের হিংসার প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যপাল নির্দেশ দেন, ''ওদের নামের তালিকা পাঠাবেন। আমি কোনও ফাইল খুলে শেষ না দেখে ছাড়ি না। ''গাড়িতে ওঠার আগে সাংবাদিকদের রাজ্যপাল বলে যান, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। নৈরাজ্য চলছে।''