রাজ্যে হিংসার অভিযোগে বিহিত চাইতে রাষ্ট্রপতি-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি
জিয়াগঞ্জকাণ্ডে প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জিয়াগঞ্জকাণ্ডকে হাতিয়ার করে দিল্লিতে দরবার করতে চলেছে বিজেপি। ১৫ অক্টোবর গোটা ঘটনা জানানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে। একই দিনে দরবার করা হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও। শনিবার জিয়াগঞ্জ কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে রাজ্য বিজেপি। নালিশ জানানো হবে রাজ্যপালের কাছেও।
জিয়াগঞ্জকাণ্ডে প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, ''রাজ্যে আইনের শাসন নেই। পুলিসকে ভরসা করছেন না মানুষ।'' এদিন দিলীপবাবু বলেন,''মনের জোর না থাকলে পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতি করা যাবে না। আমাদের ৮৫ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।। ৬০ জনের উপরে চলছে মিথ্যা মামলা। তবুও এগিয়ে চলেছি। মনের জোরে লড়ছি। ২০২১ সালে নুতন সরকার আসছে। ''পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংগঠনের আন্তর্জাতিক কার্যকরী সভাপতি আলোক কুমার বলেছেন,''পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ব্যাপারে কেন ভাবছে না কেন্দ্রীয় সরকার! ভারতের সংবিধান বাঁচাকে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সময় এসে গিয়েছে।''
এদিন খুনের তদন্তে রামপুরহাটের ৯নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জনৈক সৌভিক বণিকের বাড়িতে হানা দেয় মুর্শিদাবাদ পুলিস। তবে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে চলে তল্লাসি। বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশকিছু নথিপত্র। সিউড়িতে জাতীয় সড়কের পাশে তাঁর ভাড়া বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, বন্ধুপ্রকাশ পাল শিক্ষকতা ছাড়াও একটি ফিনান্স কোম্পানিতে কাজ করতেন। পুলিস সূত্রে খবর, বন্ধুপ্রকাশ পালের স্ত্রী বিউটি পালের আঘাত বেশি ছিল। এলোপাথাড়ি কোপানো হয় তাঁকে। বাড়িতে জোর করে ঢোকার তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। ঘর থেকে খোয়া যায়নি কিছুই। অর্থাত পরিচিত কেউ এর মধ্যে জড়িত রয়েছে বলে অনুমান। উদ্ধার হওয়া হাতে লেখা নোট ও ডায়েরি খতিয়ে দেখছে পুলিস। শহরের বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার়ও ফের এই ঘটনায় রাজনৈতিক যোগের কথা উড়িয়েছে পুলিস।
আরও পড়ুন- সংসারের খরচ বাঁচিয়ে নরেন্দ্র মোদীর মন্দির নির্মাণ করছেন মুসলিম মহিলারা