বোস ইনস্টিটিউটকাণ্ডে অভিযুক্ত রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে থানায় চিঠি অভিযোগকারিনীর

বোস ইনস্টিটিউটকাণ্ডে অভিযুক্ত রেজিস্ট্রার সুরজিত্ পানিগ্রাহীর বিরুদ্ধে থানায় চিঠি দিলেন অভিযোগকারিনী। স্টেনোগ্রাফার পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। ২৪ ঘণ্টার স্টিং অপারেশন পর্দাফাঁস হয় নিয়োগ কেলেঙ্কারির। পুলিসকে অভিযোগকারিনী জানিয়েছেন, রক্ষণশীল সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণে সামনে আসতে পারছেন না তিনি। টেলিফোনে ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া তার সাক্ষাত্কারটি সঠিক এবং সত্য বলে পুলিসকে জানিয়েছেন ওই তরুণী।

Updated By: Aug 6, 2014, 10:08 PM IST

কলকাতা: বোস ইনস্টিটিউটকাণ্ডে অভিযুক্ত রেজিস্ট্রার সুরজিত্ পানিগ্রাহীর বিরুদ্ধে থানায় চিঠি দিলেন অভিযোগকারিনী। স্টেনোগ্রাফার পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। ২৪ ঘণ্টার স্টিং অপারেশন পর্দাফাঁস হয় নিয়োগ কেলেঙ্কারির। পুলিসকে অভিযোগকারিনী জানিয়েছেন, রক্ষণশীল সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণে সামনে আসতে পারছেন না তিনি। টেলিফোনে ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া তার সাক্ষাত্কারটি সঠিক এবং সত্য বলে পুলিসকে জানিয়েছেন ওই তরুণী।

দেশের প্রথম সারির গবেষণা প্রতিষ্ঠান বোস ইন্সটিটিউটে চাকরির বিনিময়ে মহিলা প্রার্থীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং রাতবিরেতে অশালীন এসএমএস। বোস ইন্সটিটিউটের রেজিস্ট্রার সুরজিত পাণিগ্রাহীর এই কুকীর্তি প্রথম দেখিয়েছিল চব্বিশ ঘণ্টা। তিরিশে জুন এই খবর সম্প্রচারের পর আলোড়ন তৈরি হয় রাজ্যজুড়ে। এবার সেই ঘটনায় মানিকতলা থানায় চিঠি দিলেন অভিযোগকারিনী। অসহায়তার সুযোগ নিয়ে রেজিস্ট্রার তাঁকে ব্যবহার করেছেন। স্পিড পোস্টে পুলিসকে পাঠানো চিঠিতে এমনটাই স্বীকারোক্তি নিগৃহীতা তরুণীর। অভিযোগকারিনী পুলিসকে জানিয়েছেন-বোস ইন্সটিটিউটে স্টেনোগ্রাফার পদে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যে খবর চব্বিশ ঘণ্টায় সম্প্রচারিত হয়েছিল তা নির্ভুল। আমি স্বীকার করছি আমার যে বক্তব্য সম্প্রচারিত হয়েছিল তা সঠিক। আমি রক্ষণশীল সংখ্যালঘু পরিবারের মেয়ে। তাই এই মামলায় আমি সামনে আসতে চাইনা। দয়া করে আমার পরিচয় আপনারা গোপন রাখবেন।

এই ঘটনায় আগেই মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠান হওয়ায় অভিযোগ দায়ের হয় সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখাতেও। সুরজিত পানিগ্রাহীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞান ও কারিগরি মন্ত্রকের সচিবকে চিঠি লিখে তদন্তের সুপারিশ করেন প্রাক্তণ রাজ্যপাল ডি ওয়াই পাটিল। এরপর দুমাস কেটে গেলেও কার্যত কোনও ব্যবস্থাই হয়নি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বোস ইন্সটিটিউটের সাতাত্তর জন কর্মী সাক্ষর করে একটি স্মারকলিপি জমা দেন অধিকর্তার কাছে।

এদিকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ আসছে বোস ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষের একাংশের তরফে। বোস ইন্সটিটিউটের তিন কর্তার বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মামলা তোলার জন্য মোটা টাকার টোপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। যৌন কেলেঙ্কারির তদন্ত বা নতুন দায়ের হওয়া অভিযোগ। দুই বিষয়েই মুখে কুলুপ পুলিস এবং প্রশাসন।

 

.