Buddhadeb Bhattacharya Hospitalised: আপাতত নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে বুদ্ধদেব, কী জানাল হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিন?
Buddhadeb Bhattacharya Hospitalised: অতীতে দেখা গিয়েছে অসুস্থ হলেও হাসপাতালে আসতে চান না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এর আগেও হাসপাতালে ভর্তি করতে তাঁর দলের কর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, এবার তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া তাঁর পারিবারিক চিকিত্সকেরা সিদ্ধান্ত নেন দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন

মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য ও মৌমিতা চক্রবর্তী: শনিবার আচমকাই শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দ্রুত ভর্তি করা হয় আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। অসুস্থতা বাড়তেই ওই হাসপাতাল থেকে চিকিত্সকরা অ্য়াম্বুল্যান্স গিয়ে তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দেন। তারপর বাইপ্যাপ সাপোর্ট দিয়ে তাঁকে হাসপাতালে আননে। রক্তে তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা ৭০ পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল। হাসপাতালে আনার পর তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। সন্ধেয় বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থা নিয়ে হাসপাতালের তরফে একটি মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
আপাতত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে। রাখা হয়েছে নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন। জানা যাচ্ছে গত ৩-৪ দিন জ্বরে ভুগছিলেন বুদ্ধবাবু। ধীরে ধীরে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অক্সিজের মাত্রা নেমে যয়া। তার পরই দ্রুত হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয়। হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স ও চিক্তিসকরা গিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে আনে। সেখান থেকেই বাইপ্যাপ সাপোর্ট দিয়ে হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে তাঁকে বাইরে থেকে অক্সিজেন দিয়ে তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে আপাতত তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩।
হাসপাতাল সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই তাঁরে বেশকিছু রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। এক্সরে, লাং ফাংশান টেস্ট করা হয়েছে। তাঁর লোয়ার রেস্পিরেটরি ট্রাকে একটা ইনফেকশন রয়েছে। তাঁর গ্রেড ২ লাং ফেরিওর রয়েছে। পাশাপাশি তাঁর নিউমোনিয়াও থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন চিকিত্সকেরা। তার জন্য রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন চিকিত্সক টিম।
বুদ্ধবাবুর চিকিত্সায় ৮ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সেই টিমে রয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা কৌশিক চক্রবর্তী, ক্রিটিক্য়াল বিশেষজ্ঞ ডা সৌপ্তিক পান্ডা ও ডা সুস্মিতা দেবনাথ, কার্ডিওলজিস্ট ডা সরোজ মণ্ডল, পালমোলজিস্ট ডা অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্টারন্যাল মিডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা ধ্রুব ভট্টাচার্য, অ্যানাস্থিতিওলজিস্ট ডা আশীস পাত্র, ডা সোমনাথ মাইতি ও ডা সপ্তর্ষী বসু।
অতীতে দেখা গিয়েছে অসুস্থ হলেও হাসপাতালে আসতে চান না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এর আগেও হাসপাতালে ভর্তি করতে তাঁর দলের কর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, এবার তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া তাঁর পারিবারিক চিকিত্সকেরা সিদ্ধান্ত নেন দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন রাজ্যপাল সিবি আনন্দ বোস। ফোন খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের তরফে হাসপাতালে চলে আসেন রবীন দেব। এছাড়াও হাসপাতালে আসেন বুদ্ধবাবুর স্ত্রী মীর ভট্টাচার্য ও বুদ্ধদেবের একমাত্র সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। আগেও একাধিক বার তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়েছে। বাড়িতেও অক্সিজেন মজুত রাখা হয়। তবে এবার বেশ বাড়াবাড়ি হয়ে যায়।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সুস্থাতা কামনা করেছেন বাংলা সফরে থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সংবাদমাধ্যমে তিনি আজ বলেন, বুদ্ধবাবুর সুস্বাস্থ্য কামনা করি। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে য়ান।