স্টেজের ফাঁপড়ে যাত্রীরা

খাতায় কলমে বাসভাড়া বেড়েছে স্টেজ প্রতি মাত্র এক টাকা। কিন্তু বদলে ফেলা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে স্বীকৃত কিলোমিটারের স্টেজটাকেই। তাই বাস্তবে যাত্রীদের দিতে হচ্ছে অনেক বেশি ভাড়া। ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণার পরও অনেকে বোঝেননি বিষয়টা।

Updated By: Nov 6, 2012, 01:38 PM IST

খাতায় কলমে বাসভাড়া বেড়েছে স্টেজ প্রতি মাত্র এক টাকা। কিন্তু বদলে ফেলা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে স্বীকৃত কিলোমিটারের স্টেজটাকেই। তাই বাস্তবে যাত্রীদের দিতে হচ্ছে অনেক বেশি ভাড়া। ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণার পরও অনেকে বোঝেননি বিষয়টা। বাসে উঠে নতুন ভাড়া উপলব্ধি করে তাই ক্ষোভের পারদ চড়ছে যাত্রীদের। কন্ডাক্টারদের সঙ্গে এ নিয়ে প্রতিদিন প্রায় প্রতিটি রুটেই যাত্রীদের বচসা বাধছে।
টাকার অঙ্কে ভাড়া বৃদ্ধিই নয়। বদলেছে দূরত্বের অর্থাত কিলোমিটারের স্তরবিন্যাস। দুইয়ের চাপে আসলে ভাড়া বেড়ে গেছে অস্বাভাবিক হারে। অনেকক্ষেত্রেই যা সামলে উঠতে পারছেন না যাত্রীরা। কারণ পূর্বতন সরকারের পরিবহণ দফতরের নির্ধারিত কিলোমিটারের স্টেজটাই বদলে ফেলা হয়েছে। একনজরে পুরনো বাসভাড়া ও কিলোমিটারের স্টেজ...
 
শূণ্য থেকে চার কিলোমিটার ৪ টাকা
চার থেকে বারো কিলোমিটার ৬ টাকা
বারো থেকে ষোলো কিলোমিটার ৮ টাকা
ষোলো থেকে ৩০ কিলোমিটার ১০ টাকা
 
নতুন ভাড়ার তালিকা বলছে
 
শূণ্য থেকে তিন কিলোমিটার ৫ টাকা
তিন থেকে ছয় কিলোমিটার ৭ টাকা
ছয় থেকে ১০ কিলোমিটার ৮ টাকা
দশ থেকে ষোলো কিলোমিটার ৯ টাকা
ষোলো থেকে ৩০ কিলোমিটার ১ টাকা করে প্রতি স্টেজ
 
স্টেজের বা দূরত্বের এই রদবদলে নাভিশ্বাস উঠেছে নিত্যযাত্রীদের। কয়েকটি রুটের নতুন ও পুরনো ভাড়ার তুলনা করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।
 
বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে হাজরা মোড়। আগে ভাড়া ছিল চার টাকা। এখন ভাড়া ৭ টাকা। ডানলপ থেকে বিবাদি বাগ ভাড়া ছিল ৬ টাকা। এখন ৯ টাকা। ধর্মতলা-ডায়মন্ডহারবার ভাড়া ছিল ২৩ টাকা। এখন ৩৩ টাকা। ধর্মতলা-দীঘা ভাড়া ছিল ৮৪ টাকা। এখন ১২২ টাকা। ধর্মতলা-দুর্গাপুর ভাড়া ছিল ৭৫ টাকা। এখন ১১৫ টাকা। করুনাময়ী-দুর্গাপুর ভাড়া ছিল ৮০ টাকা। এখন ১২০ টাকা।
 
 
যাত্রীদের ধারণা ছিল ভাড়া প্রতি স্টেজে এক টাকা করে বেড়েছে। তাই চারের বদলে পাঁচ বা ছয়ের বদলে সাত টাকা ভাড়া দেবার কথাই ভেবেছিলেন তারা। দূরত্বের এই নতুন স্টেজের কারসাজি তাদের অনেকের মাথাতেই ঢুকছেনা। যার নিট ফল কন্ডাক্টারের সঙ্গে নিত্য অশান্তি। জ্বালানির দাম বাড়ায়, ভাড়া বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল। কিন্তু স্টেজ বদলে দিয়ে এই অস্বাভাবিক হারে তা বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল কি? সেই প্রশ্নই তুলছেন নিত্যযাত্রীরা।
 
 

.