Naushad Siddiqi: পুলিসকে মারার নির্দেশের প্রমাণ নেই, প্রায় দেড় মাস পর জামিন পেলেন নওশাদ
বৃহস্পতিবার বার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ নওশাদের জামিন মঞ্জুর করে। পুলিসের দাবি ছিল নওশাদ যাতে নিউ মার্কেট থানায় না আসতে পারেন তার নির্দেশ দেওয়া হোক। সেই আবেদন খারিজ করেছে আদালত

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। টানা ৪০ দিন পর খুলল জট। ধর্মতলায় বিক্ষোভের জেরে গ্রেফতার করা হয়েছিল নওশাদ সিদ্দিকিকে। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া ৪টি মামলায় আজ তাঁকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন-Live:ত্রিপুরায় ভালো জায়গায় থাকলেও নাগাল্যান্ডে পিছিয়ে পড়ছে বিজেপি, মেঘালয়ে কমছে তৃণমূল
বৃহস্পতিবার বার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ নওশাদের জামিন মঞ্জুর করে। পুলিসের দাবি ছিল নওশাদ যাতে নিউ মার্কেট থানায় না আসতে পারেন তার নির্দেশ দেওয়া হোক। সেই আবেদন খারিজ করেছে আদালত। তার পরেও জামিন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে বেশকিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। ধর্মতলায় গোলমালের মামলায় মোট ৬৫ জনের মধ্যে ৬৪ জনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল হাইকোর্ট।
পুলিসের অভিযোগ ছিল ধর্মতলার মঞ্চ থেকে পুলিসকে মারতে নির্দেশ দিয়েছিলেন নওশাদ। এমনই অভিযোগ উঠেছিল নওশাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এদিন আদালতে রাজ্য সরকার জানায় পুলিসকে নওযাদ মারতে বলেছিলেন এমন কোনও ভিডিয়ো আমরা পাইনি। অন্যদিকে, মামলাকারির আইনজীবীকে উদ্দেশ্য বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে, পুলিশের উর্দিতে হাত দিতে পারেন না। যাদের সনাক্ত করা সম্ভব হবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
এদিন রাজ্য সরকার জানায় নিউ মার্কেট থানার অভিযোগের পরিপ্রক্ষিতে ২ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। ওই কথা শুনে বিচারপতি বলেন, কী প্রমাণ আছে? ছবি আছে, জানালেন রাজ্যের আইনজীবী। সেই ছবি দেখে বিচারপতি বলেন, এটা কী ছবি? মঞ্চে একজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। এতে কী প্রমাণ হয়? পুলিসকে যে মারা হচ্ছে তার প্রমাণ কোথায়? প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। পাশাপাশি তিনি বলেন, আহত পুলিস কর্মীদের প্রতি আমাদের সহানুভুতি রয়েছে কিন্তু প্রমাণ কোথায়? চল্লিশ দিনের উপর জেলবন্দি, ১০ দিন পুলিস হেফাজত। এটা তদন্ত চলছে?