Calcutta High Court: লাইব্রেরিতে কোন সংবাদপত্র রাখা যাবে? হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য
২০১২ সালের ১৪ মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লাইব্রেরিগুলিতে ৮ সংবাদপত্র রাখা যাবে। কোন কোন সংবাদপত্র? সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়।

অর্ণবাংশু নিয়োগী: রাজ্যের লাইব্রেরিগুলিতে কোন সংবাদপত্র রাখা হবে? স্থানীয় মানুষের চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষই, নির্দেশ দিল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞান ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য।
ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্যে তখন পালাবাদল ঘটেছে সদ্য। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১২ সালের ১৪ মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লাইব্রেরিগুলিতে ৮ সংবাদপত্র রাখা যাবে। কোন কোন সংবাদপত্র? সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩ মামলা দায়ের করা হয় হাইকোর্টে। কেন? আদালতে এক মামলাকারী বলেন, লাইব্রেরিতে রাখার জন্য সংবাদপত্র কেনা হয় জনগণের টাকায়। সেক্ষেত্রে কোনও বাদবিচার করা যুক্তিযুক্ত নয়। সরকার অবশ্য় নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় ছিল।
আরও পড়ুন: Kolkata Corporation: কলকাতায় পার্কিঙে দুর্নীতি ঠেকাতে বড় বদল! জেনে নিন কী করবেন...
শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, ২০১৯ ও ২০২১ সালে দু'দফায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে লাইব্রেরিতে ১৪ সংবাদপত্র রাখার কথা জানিয়েছে রাজ্য। সেই তালিকায় রয়েছে নেপালি, এমনকী উর্দু সংবাদপত্রও! তিনি জানান, সরকারি খরচে লাইব্রেরিতে কোনও রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র রাখা যায় না। সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও শেষপর্যন্ত আদালতে সেই যুক্তি ধোপে টিকল না।