কেন্দ্রীয় অনুদান নিয়ে পত্রযুদ্ধ, 'পূর্ণাঙ্গ খতিয়ান' দিয়ে রাজ্যকে চিঠি সিংভির
বাকযুদ্ধের পর এবার শুরু কেন্দ্র-রাজ্য পত্রযুদ্ধ! কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে একটি টাকাও সাহায্য দেওয়া হয়নি বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। সেই অভিযোগের জবাবে এবার পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রীয় অনুদানের বিস্তারিত খতিয়ান দিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি।
বাকযুদ্ধের পর এবার শুরু কেন্দ্র-রাজ্য পত্রযুদ্ধ! কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে একটি টাকাও সাহায্য দেওয়া হয়নি বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। সেই অভিযোগের জবাবে এবার পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রীয় অনুদানের বিস্তারিত খতিয়ান দিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি। কেন্দ্রীয় অনুদানের একটি বিস্তারিত খতিয়ান রাজ্য সরকারকে দিলেন সিংভি। তাঁর দেওয়া খতিয়ান অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় যোজনা কমিশনের কাছ থেকে রাজ্য পেয়েছে ৬ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা। গত বছরের ২০ মে থেকে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যকে মোট ২৩ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিআরজিএফ স্কিমের ১ হাজার ৪৬ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই রাজ্যের কোষাগারে পৌঁছেছে বলে জানানো হয়েছে খতিয়ানে। বিআরজিএফ স্কিমে রাজ্যের জন্য আরও ৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। তবে সেই টাকা রাজ্য এখনও হাতে পায়নি বলেও জানান অভিষেক মনু সিংভি।
এখানেই শেষ নয়। চিঠিতে সিংভির দাবি, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে পশ্চিমবঙ্গের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এবং সেই সব অর্থ রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই হাতে পেয়েছে। এরপরও কেন্দ্রের অনুদান নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রীর যাবতীয় তথ্য অস্বীকার করাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র।
আর্থিক বরাদ্দ, অনুদান এইসব ইস্যুতে অভিষেক মনু সিংভির কোনও কিছু বলা উচিতই নয়, একথা বলে এর আগেই তাঁকে কটাক্ষ করেছিলেন অমিত মিত্র। অর্থমন্ত্রীর এই কটাক্ষের জবাবে সিংভির কটাক্ষ, তিনি আইনজীবী বলে অর্থনীতির বিষয়ে কিছু বোঝেন না, এমনটা ভাবা ভুল হবে। আইনজীবী বলে যে সত্যিটা বদলে যাবে, এমনটাও নয়। না জেনে কটাক্ষ করা বা আসল তথ্য জেনেও তা গোপন করা কী অপরাধ নয়? এই প্রশ্নও তুলেছেন অভিষেক মনু সিংভি। দুপক্ষের এই সংঘাতের মাঝেই বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে কৃষিঋণ মকুবের আর্জি জানানোর পাশাপাশি সারে ভর্তুকি অব্যাহত রাখতেও কেন্দ্রকে আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
একের পর এক কৃষকের আত্মহত্যা, ফসল বিক্রি না হওয়ায় কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে এই মুহুর্তে বেশ চাপে রাজ্য সরকার। এই অবস্থায় চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষিঋণ মকুবের দাবি যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।