পায়ের আঙুল কেটে প্রতিস্থাপনই একমাত্র পথ, স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে শিশুটি?

আঙুল ফিরে পাবে না বালুরঘাটের শিশুটি। জানিয়ে দিলেন বিশেষজ্ঞরা। একমাত্র উপায় এখন প্রতিস্থাপন। সেটাও দু বছরের আগে সম্ভব নয়। পায়ের আঙুল কেটে প্রতিস্থাপন করা হবে হাতে। কিন্তু, আদৌ কি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে শিশুটি?
ব্যান্ডেজ করতে গিয়ে হাতের আঙুলটাই কেটে ফেলেছিলেন নার্স । যন্ত্রণায় শিশুটি যখন কাতরাচ্ছে আঙুলটা ডাস্টবিনে ফেলে ওয়ার্ড পিটটান দিয়েছিলেন। তারপর কেটে গেছে অনেকগুলো দিন। এ হাসপাতাল সে হাসপাতাল ঘুরে ১৩দিনের শিশু এখন SSKM-এ ভর্তি। বুধবার আচমকাই তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আশ্বাস, আঙুল ফিরে পাবে শিশুটি।
কিন্তু, সত্যি কি তাই? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বাদ যাওয়া আঙুল কোনওভাবেই জোড়া লাগানো সম্ভব নয়। একমাত্র পথ শিশুটি একটু বড় হলে, পায়ের আঙুল কেটে হাতে বসানো। তাও কি সব ঠিকঠাক হবে? জানা নেই। কিন্তু, প্রশ্ন আঙুলটা কই? ডাস্টবিন থেকে আঙুল কুড়িয়ে প্লাস্টিকে মুড়ে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন মা। তারপর?
প্রসূতি বিভাগের চিকিত্সকরা বলছেন, শিশুর সঙ্গে আঙুল নেই। তাহলে আঙুল কি বাবার কাছে? স্বীকার করতে চাইলেন না তিনি। আসলে, ওই আঙুল এখন আর কোন কাজে লাগবে না। সব নার্ভ শুকিয়ে গেছে। ওটা এখন বাতিলের কোটায়। হাতের ঘা শোকালেই দু একদিনের মধ্যেই সম্ভবত ছেড়ে দেওয়া হবে শিশুটিকে। প্লাস্টিক সার্জারি করতে অপেক্ষা আরও একবছরের। ততদিনে আরও কতকিছুই ঘটে যাবে। কারোর কি আদৌ মনে থাকবে ছোট্ট শিশুটার যন্ত্রণার কথা?