বর্ধমানে ২ সিপিআইএম নেতা খুনের তদন্ত শুরু করল সিআইডি
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর বর্ধমানে ২ সিপিআইএম নেতা প্রদীপ তা ও কমল গায়েন খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করল সিআইডি। শনিবার বর্ধমানে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে সিআইডি-র বিশেষ দল। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলবে সিআইডি।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর বর্ধমানে ২ সিপিআইএম নেতা প্রদীপ তা ও কমল গায়েন খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করল সিআইডি। শনিবার বর্ধমানে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে সিআইডি-র বিশেষ দল। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলবে সিআইডি। পুলিসের কাছে থেকে খুনের কেস ডায়েরিও নিয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে সিপিআইএম-এর মিছিলে হামলায় নিহত হন সিপিআইএম নেতা প্রদীপ তা ও কমল গায়েন। ঘটনায় ৪ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিস। যদিও ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এমনকী, ধৃতদের নিজেদের হেফাজত নয়, জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় পুলিস। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে ৩টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।
২ সিপিআইএম নেতা খুনের ঘটনার শুনানিতে শুক্রবার রাজ্য সরকারকে তীব্র তিরস্কার করে কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনার কেস ডায়েরি জমা দিলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কেন দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে বিস্ময়ও প্রকাশ করে হাইকোর্ট। এবং এক ঘণ্টার মধ্যে ওই খুনের ঘটনার ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেওয়ার জন্য রাজ্যসরকারকে নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক খুনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু এই রিপোর্ট কেন এতদিন দেওয়া হয়নি এবং আদালতের নির্দেশে কী ভাবে এক ঘণ্টার মধ্যেই জমা দেওয়া হল তা নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল এবং বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। আগামী ২৩ মার্চ আদালতে সিআইডিকে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রথম দফায় রাজ্য সরকারকে তিরস্কারের পর শুক্রবার হাই কোর্টের তরফে আরও একটি তাত্পর্যপূর্ণ মন্তব্য করে বলা হয়, প্রশাসনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা রাখতেই এই নির্দেশ দেওয়া হল।