চারের পর ৫, উত্তরবঙ্গের আগে আরও একবার বৃহস্পতিবার শহরে পদযাত্রা মমতার
নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিকপঞ্জির প্রতিবাদে মঙ্গলবার সিমলায় স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি থেকে বেলেঘাটা গান্ধী ভবন পর্যন্ত মিছিলে হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণের পর এবার উত্তর। নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিক পঞ্জির প্রতিবাদে ৩০শে ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়িতে মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সিমলা থেকে বেলেঘাটা পদ- যাত্রা শেষে একথা জানান তিনি। এর আগে ২৬ ডিসেম্বর অর্থাত্ বৃহস্পতিবার মমতা হাঁটবেন রাজাবাজার থেকে মল্লিকবাজার।
গত সপ্তাহে পরপর তিন দিন। এই নিয়ে চতুর্থবার। নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিকপঞ্জির প্রতিবাদে মঙ্গলবার সিমলায় স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি থেকে বেলেঘাটা গান্ধী ভবন পর্যন্ত মিছিলে হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী। মিছিল শেষে তাত্পর্যপূর্ণ ঘোষণা। মঙ্গলবারই, নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের সমর্থনে, শিলিগুড়িতে মিছিল করে বিজেপি। সামিল হন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩০শে ডিসেম্বর, জলপাইগুড়ি জেলা থেকে শুরু করে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার মিছিলে হাঁটবেন তিনি।
লোকসভা ভোটে কোচবিহার থেকে মালদহ, উত্তরবঙ্গে আসন পায়নি তৃণমূল। কিন্তু এনআরসি আতঙ্কে কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। উত্তরে দলীয় সংগঠন চাঙ্গা করতে NRC-কেই হাতিয়ার করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নতুন নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে সোমবার কলকাতায় মিছিল করেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জে.পি নাড্ডা। অভিযোগ করেন, মতুয়া সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব পাওয়ার রাস্তায় বাধা তৈরির চেষ্টা চলছে। নাগরিকত্ব আইনে বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হয়ে নিহতদের, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রবিবার লখনউ যান ৪ তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু পুলিস তাঁদের বিমানবন্দরের বাইরে বেরোতে দেয়নি। কলকাতায় জে.পি নাড্ডার মিছিলের প্রসঙ্গ টেনে সেকথা মনে করিয়ে দেন তৃণমূলনেত্রী। বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়ে দেন কোনওভাবেই বাংলায় কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হচ্ছে না।
আরও পড়ুন- NPR-এর তথ্য NRC-র কাজে ব্যবহার করা হবে না, মুসলিমদের আশ্বস্ত করলেন শাহ