সেই ৩ জন, মুকুলের কাছের মানুষরাই আজ সিবিআইয়ের তুরুপের তাস
ওরা তিনজন। একসময় ওরাই ছিলেন মুকুল রায়ের সবচেয়ে কাছের মানুষ। এখন তিনজনই মুকুলের বিরুদ্ধে সিবিআইএর তুরুপের তাস। রাজনীতির বাইরে ঘনিষ্ঠতাই কার্যত বুমেরাং হল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের কাছে।
চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার আগেই মুকুল রায়ের সঙ্গে পুলিসকর্তা রজত মজুমদারের ঘনিষ্ঠতা। আইপিএস মহলে কানপাতলেই শোনা যেত সেই সম্পর্কের কথা। অবসর নেওয়ার পর তৃণমূলে যোগ দেন রজত মজুমদার। মুকুল-রজত যোগাযোগটা আরও গাঢ় হয়। সারদা-সঙ্কটে তাই সুদীপ্ত সেনের কর্মীদের মধ্যে রজত মজুমদারকেই ভরসা করে নিজাম প্যালেসের বৈঠকে রেখেছিলেন মুকুল রায়। সেই রজত গ্রেফতারের পর ভরা আদালতে অভিযোগ করেন, সিবিআই নাকি জোর করে তার মুখ দিয়ে বলাতে চাইছে মমতা আর মুকুলের নাম। নিজের বলে ফেলা কথা ঢাকতেই কি এসব সাফাই? প্রশ্ন উঠেছিল সেদিনই।
রজতের মতোই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছায়াসঙ্গী ছিলেন আসিফ খান। মুকুল রায়ের বহু ব্যক্তিগত মুহূর্তের সাক্ষী তিনি। রাজনীতির পাকা খেলোয়াড় মুকুল রায় ঘূণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি, ছায়াসঙ্গী আসিফই হয়ে উঠবে আস্তিনের কাল সাপ। কলম পত্রিকার অফিসে বৈঠক থেকে সারদা সম্পদের সিঙ্গাপুর পাড়ি, হাজারো তথ্য নিয়ে সিবিআই দফতরে হাজির হন আসিফ।
ঘরের শত্রুর তালিকা এখানেই শেষ নয়। তৃণমূল নেতার সঙ্গে ঘণিষ্ঠতার সুবাদে সারদা কর্তা জেলে যাওয়ার পরও কলম পত্রিকার প্রকাশক আমিনুদ্দিন সিদ্দিকি। সূত্রের খবর, গোয়েন্দাদের জেরার মুখে কোনও কথাই গোপন রাখার ঝুঁকি নেননি আমিনুদ্দিন সিদ্দিকি। রজত, আসিফের পর আমিনুদ্দিনের দেওয়া তথ্যই এখন সিবিআইয়ের হাতিয়ার।