ক্লাব নেই! তবে মিলে চলেছে মমতার অনুদান
ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা ছিল, সরকারি কোষাগার থেকে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লাব, সংগঠনকে প্রতি বছর দু-লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। এরপর থেকেই প্রতিবছর বিভিন্ন পাড়ার ক্লাবকে অনুদানের চেক দেওয়ার বন্দোবস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা ছিল, সরকারি কোষাগার থেকে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লাব, সংগঠনকে প্রতি বছর দু-লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। এরপর থেকেই প্রতিবছর বিভিন্ন পাড়ার ক্লাবকে অনুদানের চেক দেওয়ার বন্দোবস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বলে কথা। তাই নড়চড় হওয়ার জো নেই। ব্যতিক্রম হয়নি এবছরও। মঙ্গলবার মৌলালি যুবকেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে যুব কল্যাণ দফতরের তরফে বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিদের দু-লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক। চেক তুলে দেওয়া হয় এমন একটি ক্লাবকে বাস্তবে যার কোনও অস্তিত্বই নেই। বরানগরের সিঁথির হিন্দুস্তান ব্যায়ামাগার ক্লাব। গত বছর সাতেক আগেই এই ক্লাবের নথিভুক্ত ঠিকানায় উঠেছে বহুতল। এরপরেও কীভাবে এভাবে সরকারি অনুদান পেল এই ক্লাব। জানালেন ক্লাবের সেক্রেটারি গৌর রায়চৌধুরী।
কীভাবে সরকারি অনুদান পেল ক্লাবটি? বহুতলের বিতর্কিত জমিতেই নাকি তাঁদের ক্লাব। দাবি হিন্দুস্তান ব্যায়ামাগার ক্লাবের সেক্রেটারি গৌর বাবুর। ক্লাবের সেক্রেটারি বলছেন ক্লাব আছে নথিভুক্ত ঠিকানাতেই। তবে কী বলছেন ক্লাবের ঠিকানায় গজিয়ে ওঠা বহুতলের নিরাপত্তরক্ষী? ক্যামেরার সামনে প্রথমে অবশ্য মুখ খুলতে রাজি হননি নিরাপত্তারক্ষী বাবলু ব্যানার্জি। কথাবার্তায় ধরা পড়ল একাধিক অসঙ্গতিও। ক্লাবের সেক্রেটারি জানাচ্ছেন, স্থানীয় তৃণমূল বোরো চেয়ারম্যানের সুপারিশেই জুটেছে অনুদান। এক নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহাই নাকি ক্লাবকে অনুদান পাইয়ে দিতে যুব কল্যাণ দফতরে সুপারিশ করেন। তবে বিষয়টিকে পাত্তা দিতে নারাজ তরুণ সাহা।