মূল্যায়ন বৈঠকে সাবধানী মুখ্যমন্ত্রী
সরকারের একবছর শেষ হতে ঠিক আর একমাস বাকি। তার আগে টাউন হলে এক বৈঠকে মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাজের মূল্যায়ন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত, শিল্প, দমকল, পরিবহণ সহ কিছু দফতরের কাজের যেমন ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী একই সঙ্গে সময় মতো রিপোর্ট দিতে না-পারার জন্য তোপের মুখে পড়তে হয়েছে পর্যটন, কৃষি, আইন, দমকল, তথ্যপ্রযুক্তি-সহ বেশ কিছু দফতরকে।
সরকারের একবছর শেষ হতে ঠিক আর একমাস বাকি। তার আগে টাউন হলে এক বৈঠকে মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাজের মূল্যায়ন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত, শিল্প, দমকল, পরিবহণ সহ কিছু দফতরের কাজের যেমন ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী একই সঙ্গে সময় মতো রিপোর্ট দিতে না-পারার জন্য তোপের মুখে পড়তে হয়েছে পর্যটন, কৃষি, আইন, দমকল, তথ্যপ্রযুক্তি-সহ বেশ কিছু দফতরকে।
ছয় মাসের মাথায় মন্ত্রীদের কাজের মূল্যায়ন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের একবছরের মুখে মন্ত্রী এবং সচিবদের নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী।দফতরের কাজের সামগ্রিক মূল্যায়ন কী? মুখ্যমন্ত্রীর কথায় তিনি খুশি।
মুখ্যমন্ত্রী সব দফতরের কাজে খুশি বললেও বৈঠকে কিন্তু বেশ কিছু দফতর নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যেমন পর্যটন এবং কৃষি দফতর। বৈঠকসূত্রে খবর এই দুই দফতরের কাজে যে মুখ্যমন্ত্রী একেবারেই খুশি নন, তা স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। তার পছন্দের তালিকায় নেই অর্থদফতরও। কিন্তু বিকল্প না-থাকায় বর্তমান অর্থমন্ত্রীর ওপরেই যে মুখ্যমন্ত্রীকে ভরসা রাখতে হচ্ছে তাও একপ্রকার স্পষ্ট। স্বরাষ্ট্র, হাসপাতাল, সংখ্যালঘু-সহ বেশকিছু দফতর মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাতেই। ফলে এই দফতরগুলির মূল্যায়নের কোনও প্রশ্নই ওঠেনা। যে সমস্ত দফতর তাদের তাদের কাজের মূল্যায়নের রিপোর্ট এখনও জমা দিতে পারেননি তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাদেরকেও। তবে বৈঠকে অনেকেই আর্থিক সঙ্কটের কথা তুলে ধরেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেও উঠে এসেছে তা।
সরকারের বয়স এখন ১১ মাস। বেশ কিছু ইস্যুকে সামনে রেখে রাজ্যের সরকার বিরোধী আন্দোলন যথেষ্ট জোরদার। সঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন। তারই মধ্যে দফতরের এই মূল্যায়ন বৈঠক।