মুখ্যমন্ত্রীর শিল্পসভা
শিল্পের জন্য নেওয়া জমিতে শিল্পই করতে হবে। অব্যবহৃত জমি ফেলে রাখা যাবে না। শিল্পমহলের সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিল্পের জন্য নেওয়া জমিতে শিল্পই করতে হবে। অব্যবহৃত জমি ফেলে রাখা যাবে না। শিল্পমহলের সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বালিগঞ্জ পার্কে শিল্প ও বানিজ্য মহলের সঙ্গে এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিল্পপতিদের প্রথম প্রজন্ম রাজ্যে বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু দ্বিতীয় প্রজন্ম বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। শিল্পপতিদের তরফেও মুখ্যমন্ত্রীকে জমি নিয়ে তাদের সংশয়ের কথাও বৈঠকে জানানো হয়েছে। এই নিয়ে সরকারকে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন শিল্পপতিরা। রাজ্যের নতুন জমি নীতির পর থেকেই জমিকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন ছিল শিল্পমহলের। এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান আরও একবার শিল্পমহলের কাছে স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে শিল্পপতিরাও মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি জানালেন তাঁদের সংশয় ও প্রত্যাশার কথা। বালিগঞ্জ পার্কের সোমবারের এই বৈঠকে। টাটা মেটালিক্সের তরফে হর্ষ ঝা মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, পুরুলিয়া বাঁকুড়ার মতো আন্ডার ডেভেলপড জায়গায় শিল্প করা সম্ভব। কিন্তু শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো, সড়ক যোগাযোগ উন্নত করতে হবে। তখন মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, সেগুলো করবে? হর্ষ ঝা বলেন, সরকারকে করতে হবে। এ ব্যাপারে অবশ্য সরকারের তরফে কোনও প্রতিশ্রুতি শিল্পমহলকে দেওয়া হয়নি। বৈঠকে টিটাগড় ওয়াগনের জে পি চৌধুরী বলেন, বেসরকারি শিল্পপতিদের জমি সরাসরি কিনতে অসুবিধা নেই। কিন্তু অনেকসময় জমির মালিক জমি দিতে চান না। সেক্ষেত্রে তিনি সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দেন, সরকারের তরফে সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে না। ফলে জমির প্রশ্নে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন ঝুলিয়েই রাখল আজকের বৈঠক। বৈঠকে শিল্পমহলের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, শিল্পের জন্য জমি নিয়ে অব্যবহৃত জমি ফেলে রাখা যাবে না। শিল্পের জন্য জমিতে শিল্পই করতে হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, রেলমন্ত্রী হিসেবে শিল্পমহলের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে হনিমুন পর্ব বলা যায়, কিন্তু সোমবারের বৈঠককে কোনও ভাবেই তা বলা যাবে না। বরং মুখ্যমন্ত্রী সমস্যার কথাই তুলে ধরেন। কী কী ভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়ে তিনি দীপাবলীর পর উদ্যোগ নেবেন বলে শিল্পমহলকে জানান মুখ্যমন্ত্রী।