ভোটদানের হার নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য কমিশনের
কলকাতায় অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করতে নির্বাচন কমিশন যে ব্যর্থ সে অভিযোগ আগেই ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে কতজন ভোট দিয়েছেন সেই মামুলি হিসেবটুকুও ঠিকমতো করতে পারছে না কমিশন। ভোটদানের হার নিয়ে তাদের দেওয়া তথ্য বিভ্রান্তি বাড়াচ্ছে। কমিশনের নাকানি-চোবানি দেখে আগামী শনিবারের ভোট নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
ওয়েব ডেস্ক: কলকাতায় অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করতে নির্বাচন কমিশন যে ব্যর্থ সে অভিযোগ আগেই ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে কতজন ভোট দিয়েছেন সেই মামুলি হিসেবটুকুও ঠিকমতো করতে পারছে না কমিশন। ভোটদানের হার নিয়ে তাদের দেওয়া তথ্য বিভ্রান্তি বাড়াচ্ছে। কমিশনের নাকানি-চোবানি দেখে আগামী শনিবারের ভোট নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
শনিবার পুরভোটের দিন কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত গরমে ভোটাররা সকাল সকাল ভোট দেন। এ বার একেবারে উলট পুরাণ। নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, বেলা একটা থেকে তিনটের মধ্যে ভরদুপুরে চাঁদি ফাটা রোদ্দুরে ভোট পড়ল ১৭ শতাংশ। ভোট দিলেন প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ ভোটার।
কলকাতায় ভোটদানের হার কত তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কমিশনের দেওয়া তথ্যে রয়েছে আগাগোড়া বিভ্রান্তি। শনিবার দুপুর একটায় কমিশন জানিয়েছিল ভোটদানের হার ৫১ শতাংশ। বিকেল তিনটেয় সেটা বেড়ে হল ৫৮ শতাংশ। পাঁচ ঘণ্টা পর রাত আটটায় কমিশন জানাল ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর সোমবার তারা বলছে ভোটের হার আসলে ৬৮ শতাংশ।
ভোটের সময় শেষ হওয়ার পর কমিশন যে হিসেব দেয় সাধারণত চূড়ান্ত ভোটদানের হার তার চেয়ে এক-দু শতাংশ বেশি হয়। কিন্তু, কলকাতায় ভোটদানের হার যে ভাবে একলাফে ৬ শতাংশ বেড়ে গেল তা নজিরবিহীন।
শেষ দু-ঘণ্টায় যদি সাড়ে ছয় লক্ষ ভোটার ভোট দেন তা হলে বুথের বাইরে দীর্ঘ লাইন থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের তথ্যই বলছে, শনিবার বিকেল তিনটের সময় কলকাতা পুরসভার ১৫টি বরোয় বুথের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাকুল্যে ৮২২ জন। মেয়র বলছেন, কমিশনের হিসেবে গণ্ডগোল। আর বিরোধীরা বলছেন, স্লগ ওপারে ছাপ্পা দিয়েছে মেয়রের দল।
কলকাতার ভোট। যেখানে বুথকর্মীদের সঙ্গে কমিশনের দফতরে যোগাযোগের কোনও সমস্যা নেই। সেখানেও ভোট শেষের পাঁচ ঘণ্টা পর কমিশন যে হিসাব দিল, একদিন পর তা এক লাফে ছ-শতাংশ বেড়ে গেল? তাহলে কি কমিশন টেরই পেল না কলকাতা পুর এলাকায় রাত আটটার পরও লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন প্রায় দু-লাখ ভোটার? শাসক-বিরোধী দু-পক্ষই যে খানে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, সেখানে আগামী শনিবার ৯১টি পুরসভার ভোট কতটা সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।