রাজ্যে একদিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১১ জন বেড়ে হল ৩৩, মৃত ১০৫ জনই কোভিড পজেটিভ
মোট ১০৫টি মৃত্যুর কেস ডেথ কমিটি অডিট করেন। মৃত ১০৫ জন-ই করোনা পজেটিভ ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে একলাফে অনেকটা বেড়ে গেল করোনায় মৃতের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বললেন, রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১১ জনের। রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩।
অডিট কমিটির রিপোর্ট
মুখ্যসচিব জানান, মোট ১০৫টি মৃত্যুর কেস ডেথ কমিটি অডিট করেন। মৃত ১০৫ জন-ই করোনা পজেটিভ ছিলেন। এরমধ্যে ৩৩ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে অন্য কারণে।
করোনার নতুন সংক্রমণ
মুখ্যসচিব বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আরও ৩৭ জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১৫ জন। রাজ্যে মোট সক্রিয় আক্রান্ত এখন ৫৭২। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৮০ শতাংশ কেস এসেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি হুগলি থেকেও নতুন সংক্রমণের কেস এসেছে বলে জানান তিনি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব উল্লেখ করেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯০৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এপর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬,৫২৫টি। রাজ্যের ১৪টি ল্যবে পরীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছন রাজীব সিনহা।
রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোন
প্রসঙ্গত, বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে বেশকিছু ছাড়ের কথা ঘোষণা করেন। এদিন মুখ্যসচিব বলেন, রাজ্যে ৮ জেলা কোভিড মুক্ত। গ্রিন জোনে রয়েছে। তবে ৪ জেলা রেড জোনে। রাজ্যে মোট কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৪৪৪টি। এরমধ্যে কলকাতায় ২৬৪টি, হাওড়ায় ৭২টি ও উত্তর ২৪ পরগনা ৭০টি কনটেনমেন্ট জোন। লকডাউনে ছাড় দিলেও সতর্কতা মাথায় রাখার কথা স্পষ্ট করে দেন রাজীব সিনহা। তিনি জানান, বর্তমানে ৫,২৮৮ জন সরকারি কোয়ারেন্টাইনে আছেন। অন্যদিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১০,৭৭৩ জন।
করোনায় মৃত্যুতে রাজ্যের বিমা
পাশাপাশি, এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব আরও বলেন, "যে ২ জন চিকিৎসক মারা গিয়েছেন, তাঁদের নিকটাত্মীয়কে ১০ লক্ষ টাকা করে ও যে ২১ জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিমার সঙ্গে কেন্দ্রের ঘোষিত বিমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের রাজ্যের ক্ষেত্রে করোনায় মৃত্যু হলে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা আগেই বলা হয়েছে।কেন্দ্রীয় দল তাঁদের পর্যবেক্ষণে কী বলেছেন, সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি না। এই বিষয়ে আমরা সরাসরি কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সাথেই কথা বলছি।"