'হরিদেবেপুরের গুলিকাণ্ড বিক্ষিপ্ত ঘটনা', দাবি নগরপালের, পরিসংখ্যন বলছে অন্য কথা

হরিদেবপুরের পানশালায় গুলিকাণ্ড নেহাতই বিক্ষিপ্ত ঘটনা। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি নগরপাল সুরজিত কর পুরকায়স্থের। তাঁর বক্তব্য, কলকাতা এখনও নিরাপদ শহর। সত্যিই কী কলকাতা নিরাপদ? গত সাত মাসের পরিসংখ্যান কিন্তু সে কথা বলছে না। ডিসেম্বর থেকে জুলাই পর্যন্ত শহর জুড়ে বারোবার চলেছে গুলি।

Updated By: Jul 11, 2015, 12:47 PM IST
'হরিদেবেপুরের গুলিকাণ্ড বিক্ষিপ্ত ঘটনা', দাবি নগরপালের, পরিসংখ্যন বলছে অন্য কথা

ব্যুরো: হরিদেবপুরের পানশালায় গুলিকাণ্ড নেহাতই বিক্ষিপ্ত ঘটনা। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি নগরপাল সুরজিত কর পুরকায়স্থের। তাঁর বক্তব্য, কলকাতা এখনও নিরাপদ শহর। সত্যিই কী কলকাতা নিরাপদ? গত সাত মাসের পরিসংখ্যান কিন্তু সে কথা বলছে না। ডিসেম্বর থেকে জুলাই পর্যন্ত শহর জুড়ে বারোবার চলেছে গুলি।

প্রথমটা গত ২৫ শে ডিসেম্বর। নারকেলডাঙা মেইন রোডে সকালে দুই বাইক আরোহীকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। এ বছর ৬ই ফেব্রুয়ারি, তালতলায় এক ব্যবসায়ীকে লক্ষ করে চলে গুলি। ১০ই মার্চ তোপসিয়া সেকেন্ড লেনে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে। ১৫ই এপ্রিল, পুরভোটের আগে কাশীপুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি, গুলি। ১৮ই এপ্রিল, পুরভোট শেষ হওয়ার পর গিরিশ পার্কে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন পুলিসকর্মী জগন্নাথ মণ্ডল। এরপর ১৪ই মে। কড়েয়ায় শৈলেশ সিং নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন। ২৬শে মে, এন্টালিতে দুই দুষ্কৃতী দলের মধ্যে গুলির লড়াই। ২৭শে মে, পার্ক স্ট্রিটের কলিনস লেনে দু'দল দুষ্কৃতীর মধ্যে গণ্ডগোল ও গুলি। ২৮ মে, ফের কলিনস লেনে দুদলের মধ্যে গুলির লড়াই। ১৬ জুন, কাশিপুরে এক বাইক আরোহীকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। ৪ঠা জুলাই, ভোররাতে শেক্সপিয়ার সরণিতে ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলে। আর এরপর ৮ই জুলাই হরিদেবপুরের বারের গুলিকাণ্ড। প্রাণ যায় এক যুবকের।     

হরিদেবপুরের পানশালায় গুলিকাণ্ডে পুলিসের ভূমিকায় যখন প্রশ্নের মুখে, তখন নগরপালের এই মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘটনার দিন প্রাণ বাঁচাতে কিয়স্কে লুকিয়ে পড়েছিলেন পুলিসকর্মীরা। ঘটনার দুদিন পরও সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস। তখন নগরপালের এ ধরনের মন্তব্য কেন? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

.