কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান যেন 'দশমীর রাত', দলত্যাগের ভূত তাড়া করল মহাজতি সদনেও
কংগ্রেস ভেঙে তৈরি হয়েছিল তৃণমূল। আর আজ সেই তৃণমূলের দাপটেই কংগ্রেস ছন্নছাড়া। ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে আজ আরও একবার উঠে এল সেই ছবি। এই অবস্থায় দলছুট নেতাদের তীব্র কটাক্ষ করলেন অদীর চৌধুরী। কংগ্রেসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ছাত্র পরিষদকেই আন্দোলনে নামার পরামর্শও দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
ওয়েব ডেস্ক: কংগ্রেস ভেঙে তৈরি হয়েছিল তৃণমূল। আর আজ সেই তৃণমূলের দাপটেই কংগ্রেস ছন্নছাড়া। ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে আজ আরও একবার উঠে এল সেই ছবি। এই অবস্থায় দলছুট নেতাদের তীব্র কটাক্ষ করলেন অদীর চৌধুরী। কংগ্রেসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ছাত্র পরিষদকেই আন্দোলনে নামার পরামর্শও দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
ছাত্র পরিষদের জন্মদিন পালন নিয়ে দুই ছাত্র সংগঠনের প্রতিযোগিতা দীর্ঘদিনের। কোন মঞ্চে ভিড় বেশি, কোন মঞ্চে কোন নেতা। তবে সেসবই এখন অতীত। গান্ধী মূর্তির বিশাল আয়োজনের সঙ্গে মহাজাতি সদনের পাশের অনুষ্ঠানের কোনও তুলনাই হয় না। কংগ্রেসে ভাঙা হাট। নেতাদের অনেকেরই পা তৃণমূলে। এমনকী ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিজেই তৃণমূলে যাচ্ছেন কিনা, তা নিয়েও জল্পনা। এই পরিস্থিতিতে ছাত্র পরিষদের জন্মদিন পালন। কংগ্রেসের দৈন্য চেহারাটা আরও প্রকাশ্যে। আর এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে টেনে তোলার ভার ছাত্রদেরকেই দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
দলত্যাগ আর গোষ্ঠীকোন্দল। মারণ এই দুই ব্যাধিতেই আক্রান্ত কংগ্রেস। তৃণমূলে পা বাড়ানো নেতারা কংগ্রেসের অনুষ্ঠানের ছায়াও মাড়াননি তাঁরা। আর অধীরের সঙ্গে গোষ্ঠি কোন্দলের কারণে অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত বাকি অনেকেই। দল বদল নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানান অধীর চৌধুরি। শিক্ষার নৈরাজ্যের প্রসঙ্গ টেনে আক্রমণ করেন তৃণমূলকে।
কিন্তু এসব তো থাকবেই। আসল কথা সাংগঠনিক ছবিটা। তৃণমূলের ধাক্কায় বেসামাল কংগ্রেসের। দলত্যাগের ভূত তাড়া করে বেড়াচ্ছে দলকে। কোথায় গেলে বেশি লাভ তার হিসেব কষতেই ব্যস্ত এখন নেতাদের একাংশ। এরই মধ্যে কার্যত নিজেদের চেষ্টাতেই গ্রাম বাংলা থেকে ভিড় জমিয়েছিলেন ছাত্র-ছাত্রীরা। কেউ ট্রেনে চেপে। কেউ বা বাসের মাথায়।