এরাজ্যে জোটের ক্ষেত্রে বাধা কেরল কাঁটা, ১২ ফেব্রুয়ারি জোট আলোচনায় বসছে রাজ্য কমিটি
এরাজ্যে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কিনা, সেনিয়ে বারোই ফেব্রুয়ারি আলোচনায় বসছে সিপিএমের রাজ্য কমিটি। তার আগে দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে জোটের পক্ষে মত দিলেন অধিকাংশ নেতাই। তবে এরাজ্যে জোটের ক্ষেত্রে বাধা কেরল কাঁটা। তাই শেষ পর্যন্ত জোট নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, সবার নজর এখন সেদিকেই।
ওয়েব ডেস্ক: এরাজ্যে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কিনা, সেনিয়ে বারোই ফেব্রুয়ারি আলোচনায় বসছে সিপিএমের রাজ্য কমিটি। তার আগে দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে জোটের পক্ষে মত দিলেন অধিকাংশ নেতাই। তবে এরাজ্যে জোটের ক্ষেত্রে বাধা কেরল কাঁটা। তাই শেষ পর্যন্ত জোট নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, সবার নজর এখন সেদিকেই।
প্রকাশ্যেই কংগ্রেসকে পাশে নিয়ে লড়াইয়ের কথা বলছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সূর্যকান্ত মিশ্ররা। বুধবার সিপিএম রাজ্যসম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠকেও হাতে গোনা কয়েকজন নেতা বাদে সকলেই জোটের পক্ষেই মত দিলেন। বারোই ফেব্রুয়ারি থেকে বসছে রাজ্য কমিটির বৈঠক সেখানেও জোটই হবে আলোচনার ইস্যু। জোট নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট যাবে পলিটব্যুরোর কাছে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে তারপরই সিদ্ধান্ত নেবে সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
জোট or নো জোট? ১৬ ই ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসছে সিপিএম পলিটব্যুরো। ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসছে কেন্দ্রীয় কমিটি। জোট নিয়ে শেষ পর্যন্ত কোন পথে হাঁটবে সিপিএম? তা ওই বৈঠকেই ঠিক হবে। জোট গড়তে রাজ্য সিপিএম নেতাদের সামনে এখন সব থেকে বড় বাধা কেরল লবি। কেরলে সিপিএমের প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। ফলে কংগ্রেসের সঙ্গে একমঞ্চে যাওয়ার কথা ভাবতেই পাছেন না কেরলের নেতারা। প্রকাশ কারাটরা বলছেন,সিদ্ধান্ত হবে পার্টি কংগ্রেসে ঠিক হওয়া রাজনৈতিক লাইন মাথায় রেখেই।
প্রকাশ কারাট এবং কেরল নেতাদের মত কে খণ্ডন করতে তৈরি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বঙ্গ ব্রিগেডও। এ রাজ্যে সিপিএমের নীচুতলার কর্মী ও সমর্থরকরা যে জোট চাইছে তা কেন্দ্রীয় নেতাদের মিটিংয়ে তুলে ধরবেন তাঁরা। জোট নিয়ে মানসিক ভাবে নীচুতলার কর্মীরা যে প্রস্তুত তুলে ধরা হবে তাও। আর বাংলার নেতাদের এই জোট তত্পরতা দেখে নিজেদের ঘুঁটি সাজিয়ে রাখছে কেরলও। এখন দেখার বাংলা না কেরল, শেষ প্রযন্ত কাদের যুক্তিকে সিলমোহর দেয় সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটি। শেষ পর্যন্ত যদি, কেরলের আপত্তিতে জোট প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়, সে কথা মাথায় রেখে প্ল্যান বি-ও তৈরি রয়েছে আলিমুদ্দিনের হাতে।