পথই দেখাবে রাজ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তা, ছাত্র-যুবদের নিয়ে নামছে সিপিএম
লড়াইয়ের হাত ধরে যে উত্থান, ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে থাকতে তার থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে সিপিএম।
মৌমিতা চক্রবর্তী
লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর ঘুরে দাঁড়াতে ফের আন্দোলনের পথে সিপিএম। বামপন্থী আন্দোলনে সমর্থকদের ফেরাতে বিপিএমও-কে সামনে রেখে এলাকা এলাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। জনসংযোগের বাড়াতে ছাত্র-যুবকদেরই প্রথম সারিতে রেখে জাঠা বের করবে সিপিএম।
লড়াইয়ের হাত ধরে যে উত্থান, ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে থাকতে তার থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে সিপিএম। ২০১১ সালে বাংলার ক্ষমতা হাতছাড়া হয় বামেদের। আর ১৯ সালের লোকসভা ভোটে একেবারে ভরাডুবি। বাম ভোটের কিয়দংশই চলে গিয়েছে বাম শিবিরে। এখন ফের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। আর এই সংগ্রামে মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার কথা তুলে ধরে এগোতে চায় সিপিএম। ২০১৫ সালে শ্যামল চক্রবর্তীর নেতৃত্বে জাঠা বের করে BENGAL PLATFORM OF MASS ORGANISATION বা বিপিএমও। ২০১৭ সালেও বেরোয় জাঠা। সিপিএমের যে সমস্ত পার্টি অফিস বন্ধ ছিল, দখল হয়ে গিয়েছিল, তার অনেকটাই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে সেই জাঠাতেই ভরসা রাখতে চায় নেতৃত্ব।
প্রথম পর্যায়ে ৭৭ হাজার বুথে যাচ্ছে জাঠা। সামনের সারিতে রাখা হবে গণ সংগঠনের নেতৃত্বকে। প্রাধান্য পাবেন ছাত্র-যুবরা। তবে প্রাথমিকভাবে কেশপুর, খানাকুল, গোঘাটের মত জায়গাগুলির ১৭৯৯টি বুথে যাচ্ছে না বিপিএমওর জাঠা। সিপিএম নেতৃত্ব মনে করছে, একমাত্র জনসংযোগের পথ ধরেই আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে দল।
আরও পড়ুন- সিঙ্গুর আন্দোলনে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনা, বিলম্বিত বোধোদয় মুকুলের