JU Student Death: 'যাদবপুরে একটা ছেলেকে মেরে ফেলল সিপিএমের ইউনিয়ন, এত খুন করেও বদলায়নি'
JU Student Death: বিজেপিকে দুষে মমতা বলেন, আমাদের এখানে ধর্মে ধর্মে ভেদাভেদ নেই। এটা বিজেপির ওখানে আছে। বিলকিসের মামলায় যারা অত্য়াচার কতরেছিল তাদেরও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সংখ্যালঘু ও তপসিলি উপজাতিদের উপরে কী অত্যাচার হচ্ছে তা আপনারা দেখছেন
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর তদন্তে আজ হস্টেলে গিয়ে ডামি ডল নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল ফরেন্সিক টিম। খুন নাকি দুর্ঘটনা নাকি নিছকই দুর্ঘটনা তা খানিকটা স্পষ্ট হবে ওই ফরেন্সিক পরীক্ষায়। এর মধ্যেই যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বড় কথা বলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-মাতৃত্ব চাপিয়ে দেওয়া যায় না, ধর্ষণে ২৭ সপ্তাহেও গর্ভপাতের অনুমতি সুপ্রিম কোর্টের
সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম মোয়াজ্জিমদের সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করতাম। এখনও করি। কিন্তু আপনারা দেখলেন কীভাবে সিপিএম ও বামপন্থীদের ইউনিয়ন একটি ছেলেকে মেরে ফেলল। কী পরিস্থিতি! এখনও বদলায়নি। এত খুন করেও বদলায়নি। এত রক্ত নিয়েও বদলায়নি। এরা জীবন বদলাবে না আমরা জানি।
বিজেপিকে দুষে মমতা বলেন, আমাদের এখানে ধর্মে ধর্মে ভেদাভেদ নেই। এটা বিজেপির ওখানে আছে। বিলকিসের মামলায় যারা অত্য়াচার কতরেছিল তাদেরও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সংখ্যালঘু ও তপসিলি উপজাতিদের উপরে কী অত্যাচার হচ্ছে তা আপনারা দেখছেন। সারদাকে নিয়ে এসেছিল সিপিএম। কিন্তু ওদের বিরুদ্ধে একটাও কেস দেখতে পাচ্ছেন? না দেখবেন না। কারণ আন্ডার স্ট্যান্ডিং। আর তৃণমূলের ছেলেপুলেদের ইডি সিবিআইয়ের ভয় দেখাচ্ছে। কাজ নেই। যতকিছু মাথা ব্যথা তৃণমূলকে নিয়ে। ওরা জানে তৃণমূল ওদের রেয়াত করে না। কোন ইস্যুটা আমরা করিনি! এনআরসি, সিএএ নিয়ে আমরা কাজ করেছি। কয়কবচৎ আগে বিজেপি বলল সবাইকে আধারকার্ড করতে হবে। না থাকলেই টেররিস্ট। এখন বলছে আধার কার্ডে সব তথ্য দিও না। আধার না থাকলে রেশন কার্ডে না উঠবে না, আবাস য়োজনায় নাম উঠবে না। আধার না থাকলে দেশে থাকতে পারবে না।
এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই মন্তব্য নিয়ে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সবটুকু জেনে আসল অপরাধীদের আড়াল করতে এখন মিথ্য কথা বলছেন। এরকম মিথ্যবাদী মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মানুষের যোগ্য নন। উনি খুব ভালো করেই জানেন যে সংগঠনগুলি থেকে, যে সংগঠনগুলির নেতারা গ্রেফতার হয়েছে তা হল ফ্যাস, ডিএসএফ, ডাবলিউটিআই এরা প্রত্যেকে সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম থেকে নো ভোট ক্যাম্পেইন পর্যন্ত তৃণমূলকে সাহায্য করে গিয়েছে। তৃণমূলের ছত্রছায়ায় অভিযুক্তদের কেউ কেউ লুকিয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা তারা এসএফআই কর্মীকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী সবটা জানেন। ওঁর ফাইনান্সাররা এবং ওঁকে বুদ্ধি দেয় যারা সেই সুশীল সমাজের ভেকধারী র্যাগাররা ধরা পড়ে যাচ্ছে দেখে উনি এখন সিপিএমের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। এর তীন্দা করছি। মুখ্যমন্ত্রী তদন্তকে প্রবাবিত করার চেষ্টা করছেন। মৃত ছাত্র যদি বিচার না পায় তার দায় মুখ্যমন্ত্রীর।
উল্লেখ্য, যাদবপুর ছাত্রমৃত্যুর তদন্ত আজ ডামি ডল নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করে ফরেন্সলিক টিম। মোট তিনটি সম্ভাবনার বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাটি খুন, আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা। মনে করা হচ্ছে তিনটি সম্ভাবনার ক্ষেত্রে তিনতলা থেকে পড়ার ধরন আলাদা হবে। সেই দিকটাই দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ওই প্রক্রিয়ার পরই অভিযুক্তদের জেরা করা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওপর থেকে পড়ে যদি কারও মৃত্যু হয় তাহলে তা ময়না তদন্তে উল্লেখ করা হয়। এক্ষেত্রে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়। কীভাবে একজন উপর থেকে পড়ল, তাকে ধাক্কা দেওয়া হল, নাকি সে ঝাঁপ দিল, নাকি দুর্ঘটনাবশত সে পড়ে গেল। বিষয়টি আন্দাজ করা হয় নিহতের সম ওজনের কোনও পুতুল ওই একই জায়গা থেকে ফেলে। কেউ উপর থেকে যে জায়গায় পড়বে তার থেকে তফাত হবে কেউ তাকে ঠেলে দিলে। কেউ যদি দুর্ঘটনাবশতও পড়ে যায় সেটাও ফরেন্সিক পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব।