Debangshu Bhattacharya: 'কামদুনির অভিযুক্তরা এত দামি উকিল পায় কী করে'? প্রশ্ন তৃণমূলের
'যখন মিছিলে হাঁটছেন শুভেন্দু এবং কুম্ভীরাশ্রু ঝরাচ্ছেন, এই প্রশ্নের উত্তর চাই', এক্স হ্যান্ডেলে সরব দলের আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'ফিরোজ এডুলজি একজন বিজেপি ঘনিষ্ঠ আইনজীবী। তাঁর চড়া পারিশ্রমিক দিল কে'? কামদুনিকাণ্ডে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীকে নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, 'যখন মিছিলে হাঁটছেন শুভেন্দু এবং কুম্ভীরাশ্রু ঝরাচ্ছেন, এই প্রশ্নের উত্তর চাই'।
কামদুনিকাণ্ডে 'লঘু দণ্ড'। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ছাড়া পেয়ে গেল ৪ অভিযুক্ত। কীভাবে? কামদুনিতে মিছিল করল বিজেপির মহিলা মোর্চা। সেই মিছিলে হাঁটলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁর দাবি, 'সিআইডি কেস দুর্বল করেছে। তদন্তে গলদের জন্য ধর্ষকরা মুক্তি পেয়েছে'।
এদিকে হাইকোর্টে অভিযুক্তদের আইনজীবী ছিলেন ফিরোজ এডুলজি। এক্স হ্যান্ডেলে দেবাংশুর পোস্ট, ফিরোজ এডুলজি সবসময় বিজেপি, আরএসএস ও ইডি-র হয়ে মামলা লড়েন। এবার কামদুনি ধর্ষকদের হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা লড়লেন'।
Phiroze Eduljee: He is a pro-BJP lawyer, who always fights BJP-RSS & ED cases. This time he fought for the rapists of Kamduni in Calcutta HC. He is an expensive lawyer. Who paid his fees? Worth a story.
While Suvendu Adhikari is organising rallies & showering crocodile's tears;…
— Debangshu Bhattacharya Dev (@ItsYourDev) October 10, 2023
তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'ঘটনার তো সত্যতা আছে। যে অভিযুক্তদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সিআইডি নিজের কোর্টে ফাঁসির ব্যবস্থা করেছিল, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করেছিল। তাদের অ্য়াপিল কেসে যিনি দাঁড়ালেন, সেই ফিরোজ এডুলজি, তিনি কে? এবং তিনি সদম্ভে হাইকোর্টে বললেন, আমি কেস ঘুরিয়ে দেব। এই কনফিডেন্স আসল কোথা থেকে'? তাঁর দাবি, 'একদিকে তিনি সিবিআইয়ের আইনজীবী, ইডি-র আইনজীবী, কেন্দ্রের আইনজীবী এবং শুভেন্দুরও আইনজীবী! এই য রাজনৈতিক যোগসূত্র, শুভেন্দু অধিকারী বলতে পারবেন কী প্রক্রিয়ায়, কী কায়দায় তিনি কামদুনির অভিযুক্তদের ছাড়িয়ে আনলেন'।
আরও পড়ুন: Dengue Death: উৎসবের মরশুমে ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু, আবার সেই দমদম..
রাজ্যে তখন সদ্য পালাবদল ঘটেছে। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে কলেজ থেকে ফেরার পথে প্রথমে ধর্ষণ, তারপর খুন করা হয় এক ছাত্রী। কবে? ২০১৩ সালের ৭ জুন। সেই ঘটনার কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্যে। দোষীদের চরম সাজার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন।
অভিযুক্ত ছিল মোট ৯ জন। কিন্তু নিম্ন আদালতে মামলা চলাকালীনই মৃত্যু এক অভিযুক্তের। বেকসুর খালাস পেয়ে যায় আরও ২ জন। কলকাতায় নগর দায়রা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় বাকি ৬ জন। ৩ জনকে মৃত্য়দণ্ড, আর ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। এরপর যে ৬ জন দোষী সাব্যস্ত হয়, হাইকোর্টে সাজা কমানোর আবেদন জানান তারা।
১০ বছর পার। কামদুনিকাণ্ডে নিম্ন আদালতে যার ফাঁসি সাজা হয়েছিল, তাকে এবার বেকসুর খালাস করে দিয়েছে হাইকোর্ট! শুধু তাই নয়, সাজা কমে যাওয়ায় খালাস পেয়ে গিয়েছে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আরও ৩ জন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)