Exclusive: ডবল ইঞ্জিন সরকারের সওয়াল Dilip-র; বিরোধিতায় একজোট Congress-CPM-TMC
বিতর্কে অংশ নিলেন দিলীপ ঘোষ, অধীর চৌধুরী, সুজন চক্রবর্তী ও সুখেন্দুশেখর রায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: Zee ২৪ ঘণ্টা Kolkata Conclave-এর মঞ্চে 'ডাবল ইঞ্জিন সরকার' নিয়ে জমজমাট বিতর্ক। কেন্দ্র ও রাজ্যে একই দলের সরকারের পক্ষে জোরদার সওয়াল করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পাল্টা যুক্তি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhuri), সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) ও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)।
নজরে একুশের ভোট। লক্ষ্য, বাংলার ক্ষমতা দখল। রাজ্যে তৃণমূল বিরুদ্ধে প্রচারে কার্যত ঝড় তুলেছে বিজেপি (BJP)। আজ অমিত শাহ (Amit Shah), তো কাল জেপি নাড্ডা (JP Nadda), ঘনঘন বাংলায় আসছেন দলের সর্বভারতীয় নেতারা। ফের একবার স্লোগান উঠেছে 'পরিবর্তনে'র। গেরুয়াশিবিরের নেতাদের দাবি, তৃণমূল জমানায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। বরং সবক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে বাংলা। তাই এবার পরিবর্তন দরকার। কী সেই পরিবর্তন? 'ডাবল ইঞ্জিন সরকার'-র কথা বলছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। অর্থাৎ কেন্দ্র ও রাজ্যে একই দলের সরকার। ভারতের গণতান্ত্রিক দেশে এই ব্যবস্থা কতটা যুক্তিসঙ্গত? Zee ২৪ ঘণ্টা Kolkata Conclave-র বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিদের কাছে মতামত জানতে চেয়েছিলেন এডিটর অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Exclusive: অযোধ্যার 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি বাংলায় ধর্মীয় স্লোগান নয়: Amit Shah
প্রথমে বক্তব্য রাখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর যুক্তি, '৪৫ বছর হতে যাচ্ছে, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গে আলাদা সরকার। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা পাচ্ছেন না বাংলার মানুষ। রাজনৈতিক কারণে আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধির মতো প্রকল্পগুলি এখানে কার্যকর হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন না। এমনকী, মুখ্যসচিব, জেলাশাসকদের মতো প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও পাঠান না'। সঙ্গে যোগ করলেন, 'অন্য রাজ্যের মানুষ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন, বিজেপিকে ভোটও দিয়েছে'।
দিলীপ ঘোষের পর বক্তব্য় রাখতে গিয়ে কড়া ভাষায় এই 'ডাবল ইঞ্জিন সরকার' তত্ত্বের বিরোধিতা করেন করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhuri)। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, 'স্বাধীনতার পর ৫৪ বছর ৬ দিন ভারতে শাসন করেছে কংগ্রেস। তখন যদি বলা হত, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে নরেন্দ্র মোদি, তুমি সরে যাও, আমরা ডাবল ইঞ্জিন সরকার করব। তাহলে কেমন হত?' অধীরের বক্তব্য়, 'এটা বিজেপি তত্ত্ব। এই তত্ত্বের মাধ্যমে ভারতবর্ষ ও সংবিধানকে চুরমার করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে'। সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বক্তব্য, 'চার চাকাই হোক বা দু'চাকা, গাড়ি কখনই ডাবল ইঞ্জিনে চলে না, একটা ইঞ্জিনেই চলে। বিজ্ঞানসম্মত তো নয়ই, এই তত্ত্ব সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবেও চলে না। বোকা বোকা কথার কোনও মানে নেই। ভারতের সর্বনাশ করার জন্য এই ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কথা বলা হচ্ছে'।
আরও পড়ুন: Exclusive: ভারতে বামপন্থী আন্দোলনের দিন শেষ, BJP-র ভোট অক্ষুণ্ণ থাকবে: Shah
আর তৃণমূল? দলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy) বলেন, 'জোর করে চাপিয়ে দেওয়া তত্ত্ব। গণতন্ত্রে এটা চলে না। ব্রিটিশ ভারতে ১৭টি রাজ্য ছিল, তাহলে এতগুলি রাজ্য এল কোথা থেকে? আমাদের রাজ্য পুর্নগঠন কমিশন বসাতে হল। ১৯৫৬ সালে রাজ্য পুর্নগঠন আইন লাঘু হল। এত ভাষা, এত সংস্কৃতির দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে গেলে রাজ্যগুলির জাতিসত্ত্বাকে প্রধান্য দিতে হবে'।