Dilip Ghosh: বঙ্গ বিজেপির বৈঠকে 'ব্রাত্য' দিলীপ ঘোষ!
দরজা বন্ধু থাকায় হয়তো বুঝতে পারেননি', সাফাই দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
মৌমিতা চক্রবর্তী: সিবিআই নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জের? বঙ্গ বিজেপির বৈঠকে 'ব্রাত্য' দিলীপ ঘোষ! 'দরজা বন্ধু থাকায় হয়তো বুঝতে পারেননি', সাফাই দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
ঘটনাটি ঠিক কী? ঘড়িতে তখন সাড়ে পাঁচ। এদিন বিকেলে হেস্টিংসে বিজেপি কার্যালয়ে আসেন দিলীপ ঘোষ। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিবিআই নিয়ে পুরনো অবস্থানেই অনড় থাকেন তিনি। এরপর সোজা ওঠে যান দলীয় কার্যালয়ে আটতলায়। এদিকে নির্দিষ্ট সময়ে হেস্টিংসে বিজেপি কার্যালয়েই চারতলায় দলের নেতা বৈঠকে বসেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই বৈঠকে হাজির থাকার কথা ছিল দিলীপ ঘোষেরও। এমনকী, আটতলা থেকে চারতলায় নেমেও আসেন তিনি। কিন্তু বৈঠকে ঢুকতে পারেননি! শেষপর্যন্ত বিরক্ত হয়ে ফের আটতলায় উঠে যান দিলীপ। তাঁকে ছাড়াই বৈঠক হয় এবং বৈঠক শেষে একে একে বেরিয়েও যান বিজেপি নেতারা।
আরও পড়ুন: CM Mamata Banerjee: মন্ত্রিসভার পর বিধানসভার কমিটি অভিযোগমুক্ত করার ভাবনা সরকারের
কেন এমন ঘটনা ঘটল? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রথমে বলেন, 'না উনি আসেননি আজকে'। এরপর যখন তাঁকে হেস্টিংস কার্যালয়েই দিলীপ ঘোষের উপস্থিত থাকার কথা জানানো হয়, তখন বলেন, 'হয়তো কোনও কাজে ব্যস্ত ছিলেন, তাই হয়তো আসেননি। মিটিং শুরু হওয়ার পর অনেক সময় দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেজন্য হয়তো বুঝতে পারেননি কোথাও মিটিং হচ্ছে'।
বিজেপির 'অভ্যন্তরীণ বিষয়' নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, 'এটা ভারতীয় জনতা পার্টির অভ্য়ন্তরীণ বিষয়। আমি নিশ্চিত করে কিছু বলব না। তবে একটা কথা বলতে চাই, তৃণমূলের দিকে না তাকিয়ে, মানুষকে বিভ্রান্ত না করে নিজেদের দলটাকে টিকিয়ে রাখুন। দলটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার হয়ে পড়ছে। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে। আক্কিবার দুশো বার বলে পগারপাড় হয়ে গিয়েছিলেন। যে ক'টা বিধায়ক জিতেছিলেন, সংখ্যা ক্রমে অর্ধেকের দিকে যাচ্ছে। রাজনীতির মাঠে একটা তো বিরোধী দরকার। সংগঠন অন্তত সেই জায়গায় ধরে রাখুন, যাতে আপনাদের বিরোধী হিসেবে পাই'।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: গোরু বিক্রির টাকায় দুর্গাপুজো! রাজ্যকে নিশানা দিলীপের
এর আগে, এদিন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। বলেন,'বিধানসভা ভোটের পর ৬০ জন কর্মীকে খুন করা হয়েছে। সিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছিল কোর্ট। ক'জনকে সাজা দিয়েছে? এফআইআর-ই করতে পারেনি। সিবিআই কার, আমার কিছু যায় আসে না। সিবিআইকে দেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সংস্থা বলে মনে করা হয়। আমরাও বিশ্বাস করেছিলাম। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি'। সঙ্গে যোগ করেন, আমার মন্তব্যে অনেক নেতার কষ্ট হয়েছে, কুকুর যদি বাড়িতে পৌঁছে যায়, তাই ভয় পাচ্ছে'।