'বাংলাকে শিল্প-মুক্ত করেছেন, ইতিহাসে নাম থাকবে', মমতার 'টাটা' মন্তব্যের পাল্টা দিলীপ

 'এর থেকে ভাল জোকস আর হয় না। জীবনে যত ভালো জোকস বলেছেন তার থেকে সবথেকে ভালো জোকস হচ্ছে এইটা। লোক দেখেছে ওখানে ধর্ণা মঞ্চে বসে কি করেছেন। বিরিয়ানি খেয়ে ধর্ণা দিচ্ছিলেন, অনশন করেছিলেন, সে নাটক সবাই জানেন।'

Updated By: Oct 20, 2022, 09:57 AM IST
'বাংলাকে শিল্প-মুক্ত করেছেন, ইতিহাসে নাম থাকবে', মমতার 'টাটা' মন্তব্যের পাল্টা দিলীপ
ফাইল ছবি

নান্টু হাজরা: বুধবার শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে শিল্প নিয়ে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, সিঙ্গুর থেকে টাটাদের তাড়িয়েছে সিপিএম। আমরা বরং চাষীদের জমি ফেরত দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক তরজা। এদিন এর পাল্টা কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'এর থেকে ভাল জোকস আর হয় না। জীবনে যত ভালো জোকস বলেছেন তার থেকে সবথেকে ভালো জোকস হচ্ছে এইটা। লোক দেখেছে ওখানে ধর্ণা মঞ্চে বসে কি করেছেন। বিরিয়ানি খেয়ে ধর্ণা দিচ্ছিলেন, অনশন করেছিলেন, সে নাটক সবাই জানেন। এখন এসব বলে প্রায়শ্চিত্ত হবে না। বাংলাকে শিল্প মুক্ত করেছেন উনি এই কৃতিত্বটা ওনার, ইতিহাসে নাম থেকে যাবে ওনার।'

আরও পড়ুন, Mamata On Singur: 'মিথ্যাশ্রী বা মিথ্যা ডক্টরেট বলে কিছু থাকলে সেটা ওনার প্রাপ্য'

পর্যটনশিল্পে বিশ্বকে পথ দেখাবে বাংলা, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার জবাব, 'পশ্চিমবঙ্গে এত পর্যটনের জায়গা আছে যদি সেটা একটু ঠিকঠাক সাজানো যেত, থাকার ব্যবস্থা, রাস্তাঘাটের ব্যবস্থা করা যেত তাহলে বাঙালি এত বাইরে বাইরে ছুটত না। সারা উত্তরবঙ্গ জুড়ে আমাদের পর্যটনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আছে। ডুয়ার্স পাহাড়, দক্ষিণ বাংলায় বিষ্ণুপুর, এদিকে এত জায়গা মুর্শিদাবাদে ঐতিহাসিক জায়গা, একটুখানি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে সাজিয়ে দিলে থাকার ব্যবস্থা করলে, যোগাযোগের ব্যবস্থা করলে এবং ওয়েবসাইটে ডিটেলস দিয়ে দিলে হাজার হাজার টুরিস্ট যেতো। বাংলার লাভ হত। সেটা তারা করেননি, করার ইচ্ছাও নেই।'

এদিন আবারও তিনি টেট পরীক্ষার আন্দোলনরত প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ান। ২০১৪ টেস্ট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন চলছে। এদিকে শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলন তুলে নিতে অনুরোধ করেছেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন, 'এই আন্দোলন যারা নিজের অধিকারের জন্য নিজের প্রাণকে বাজি রেখেছে তাদের। কে বলছে অনৈতিক? তাদের আশ্বাস কে দেবে? নীতি-নৈতিকতা বোঝা যাচ্ছে। সরকার কতটা নীতির কাজ করছে কোর্টে গিয়ে সব জায়গায় কানমোলা খাচ্ছে। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বয়স পার হয়ে যাচ্ছে, সরকারি চাকরির তখন বাধ্য হয়ে অনশন করছেন। তারা কিসের আশ্বাসে অনশন তুলে নেবেন? সরকার কিছু কথা তো বলুক। মিডিয়াতে বললে হবে না তাদের সামনে এসে বলা উচিত।'

আরও পড়ুন, Panchayet Election 2023: মার্চ-এপ্রিলেই ভোট! পঞ্চায়েতের ৩ স্তরেই বাড়ল আসন সংখ্যা

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.