Group-D Recruitment: 'সুপারিশের স্বাক্ষর নকল', কমিশনের দাবিতে 'গভীর ষড়যন্ত্র' দেখছে আদালত
"এমন একটি গোপনীয় নথিতে কে স্বাক্ষর করতে পারে?"
নিজস্ব প্রতিবেদন : গ্রুপ-ডি নিয়োগ (Group-D Recruitment) দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্নের মুখে কমিশন। আদালতে কমিশন দাবি করে যে, সুপারিশের স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের স্পষ্ট প্রশ্ন, "এটা কি গভীর ষড়যন্ত্র বলা যায় না?" এদিন ২০১৯-এর মেরিট লিস্ট সহ যাবতীয় অনুসন্ধান কমিটিকে দেওয়ার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি, আরও জানিয়েছে যে, ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
গ্রুপ-ডি মামলায় (Group-D Recruitment) এদিন সুপারিশে স্বাক্ষর প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ কড়া ভাষায় বলে, "এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এমন একটি গোপনীয় নথিতে কে স্বাক্ষর করতে পারে? ডিজিটাল স্বাক্ষর? তার পাসওয়ার্ড থাকে। আমরা জানি কীভাবে স্বাক্ষর করতে হয়। এটা খুবই গোপনীয়। আপনি বলছেন এটা করেননি! এমন অপব্যবহার হয় কী করে? এটা বেনিয়ম হয়েছে। বেনিয়ম ধরা পড়েছে। আমাদের এখনও সন্দেহ আছে কমিশন আইন মোতাবেক কাজ করছে কিনা!" একজন প্রশাসককে কমিশনের সর্বোচ্চ মাথায় বসানো উচিত বলেও মত পোষণ করে আদালত।
একইসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ তোপ দাগে, "সরকারি দুটি সংস্থা একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে। দোষ এড়ানোর চেষ্টা করছে। এমন দেখে আদালত চুপ থাকতে পারে না। কমিশনকে উত্তর দিতে হবে যাবতীয় কাজের জন্য। অনুসন্ধান কমিটিকে দ্রুত তদন্ত করতে হবে। যদি নিয়োগ বেআইনি হয়, তাহলে চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষতিপূরণ করতে হবে।" প্রসঙ্গত, গ্রুপ-ডি নিয়োগ (Group-D Recruitment) দুর্নীতি মামলায় আদালত আগেই চাকরি বাতিলের পাশাপাশি বেতন ফেরানোরও নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, এদিন আদালতে পর্ষদ বলে যে, "আমরা নিয়োগ দেওয়ার আগে কমিশনের কাছে জানতে চাই। তাদের থেকে 'ওকে' আসার পরই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।"
গ্রুপ-ডি মামলায় (Group-D Recruitment) এদিন ডিভিশন বেঞ্চ ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল থাকার নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে আরও নির্দেশ, ২০১৯-এর মেরিট লিস্ট সহ যাবতীয় সব কমিটিকে দিতে হবে। ২ দিনের মধ্যে দিতে হবে। কমিটি সবকিছু হাতে পাওয়ার ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দেবে।