Maneka Gambhir: অভিযুক্ত প্রবল ক্ষমতাধর, মেনকা গম্ভীরের রক্ষকবচের তীব্র বিরোধিতা ইডির
মেনকার আইনজীবী জিষ্ণু সাহা সওয়াল করেন, নিজেকে রক্ষা করার অধিকার প্রত্যেকের রয়েছে। কারও আত্মীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেই তাদের হয়রান করা যায় না। রাত বারোটায় ইডি অফিসে যেতে বলা হয়েছে। তাই গিয়েছে আমার মক্কেল
বিক্রম দাস: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের রক্ষকবচের বিরোধিতা করল ইডি। কারণ তিনি ভীষণ প্রভাবশালী। ক্ষমতাবান আত্মীয়দের ঢাল করে তিনি দুর্নীতিতে জড়িত। বৃহস্পতিবার কয়লা পাচার মামলায় মেনকা গম্ভীরের রক্ষাকবচের এভাবেই বিরোধিতা করল ইডি। ইডির আইনজীবী বিল্লোদল বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করেন, কলকাতার বাসিন্দা বলে পরিচয় দিলেও মেনকা আসলে বিদেশি নাগরিক। তাঁর বোন ও বোনের স্বামী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এই মামলায় তাঁদের জেরা করা হয়েছে। যদিও দিল্লি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ তারা এনেছেন। তাদের কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশনামা এসেছে। কিছু লুকোনের সুপ্ত ইচ্ছে রয়েছে এদের। ইডির ক্ষমতা রয়েছে। তারা এই মামলায় তদন্ত করতে চায়।
আরও পড়ুন-গুজরাট নির্বাচনে জাম্বুরে বিশেষ আদিবাসী বুথ, ভোট দিচ্ছেন ভারতের মিনি আফ্রিকান গ্রামের বাসিন্দারা
অন্যদিকে মেনকার আইনজীবী জিষ্ণু সাহা সওয়াল করেন, নিজেকে রক্ষা করার অধিকার প্রত্যেকের রয়েছে। কারও আত্মীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেই তাদের হয়রান করা যায় না। রাত বারোটায় ইডি অফিসে যেতে বলা হয়েছে। তাই গিয়েছে আমার মক্কেল। দুবার সমন পাঠানো হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই সাহায্য করছি।
ওই সওয়াল শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তদন্ত সংস্থা ডাকলে তোমার যেতে অসুবিধা কোথায়? এখনই বিদেশ যাওয়ার তাড়া কিসের। ওই কথা শুনে মেনকার আইনজীবী বলেন, আমার সমস্যা নেই। আমি সুপ্রিম কের্টের রক্ষাকবজ নিয়েছি। আপনিও আমাকে রক্ষাকবজ দিন। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি মূল অভিযুক্ত নয়। অন্যদিকে, ইডির আইনজীবী অশোক চক্রবর্তী বলেন, এই মামলায় মেনকা গম্ভীরের রক্ষাকবজের কোনও প্রয়োজন নেই।