Mid Day Meal Scam: 'রাজনৈতিক কারণে মিড-ডে মিলে কারচুপির রিপোর্ট'! ফের বিস্ফোরক ব্রাত্য
'রাজ্যে মিড-ডে মিলে ১০০ কোটি কারচুরি'! রিপোর্ট দিয়েছেন কেন্দ্রের যৌথ পর্যালোচনা মিশন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যে মিড-ডে মিলে ১০০ কোটি কারচুরি! 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিকল্পনামাফিক যৌথ পর্যালোচনা মিশনের রিপোর্ট নিয়ে হইচই করা হয়েছিল', ফের বিস্ফোরক শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
ঘটনাটি ঠিক কী? এ রাজ্যে মিড-ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসে কেন্দ্রের যৌথ পর্যালোচনা মিশন (JRM)। এই প্রকল্পের পোশাকি নাম, পিএম পোষণ।
যৌথ পর্যালোচনা মিশনের রিপোর্টে উল্লেখ, 'রাজ্য সরকার জানিয়েছিল বিভিন্ন স্তরে স্কুলে এনরোল করা পড়ুয়াদের গড়ে ৯৫ শতাংশকে মিড ডে মিল দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা গিয়েছে, স্কুলগুলিতে মাত্র ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ পড়ুয়া প্রতি বছরে এই মিড ডে মিল নেয়। শুধু তাই নয়, প্রায় ১৫ কোটি মিল বেশি সার্ভে করা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে! আর তাতেই খরচ হয়ে গিয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি'!
আরও পড়ুন: DA Movement: 'বনধে সামিল হলে কর্মজীবনে ছেদ'! হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য...
এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু ট্যুইট করেন, 'আজ কেন্দ্রীয় সরকারের সচিবে নেতৃত্বে পিম পোষণের অধীনস্থ প্রোজেক্ট অ্যাপ্রুভাল বোর্ডের বৈঠক হল। মিড-মিল বোর্ড একটি প্রোজেন্টেশন দিল, তারপর বিস্তারিত আলোচলা হল'। শিক্ষামন্ত্রী দাবি, এই প্রকল্পের রাজ্য সরকারে বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিকল্পনামাফিক যৌথ পর্যালোচনা মিশনের রিপোর্ট হইচই করা হয়েছিল'।
— Bratya Basu (@basu_bratya) May 15, 2023
এর আগে, যেদিন রাজ্যে মিড-ডে কারচুরির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে, সেদিনই সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছিলেন ব্রাত্য বসু। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ ছিল, 'গণমাধ্যমে ত্রুটিপূর্ণ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আসলে ওরা ত্রুটি পাননি, ত্রুটি খুঁজতে এসেছিলেন। প্রথমে সবই ভালো লেগেছিল, কিন্তু সেটা বিজেপি নেতাদের পছন্দ হয়নি। এই রিপোর্ট বিজেপি অফিসে বসেও লেখা হয়ে থাকতে পারে'।