আজ থেকে জারি হচ্ছে শিক্ষা সংক্রান্ত অর্ডিনান্স

আজ থেকে এরাজ্যে জারি হতে চলেছে শিক্ষা সংক্রান্ত অর্ডিনান্স। এর ফলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কোর্ট, কাউন্সিল, সেনেট, সিন্ডিকেট তাদের কার্যক্ষমতা হারাতে চলেছে। নতুনভাবে সংস্থাগুলি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত পুরোনো প্রতিনিধিদের আর কোনও ক্ষমতাই থাকবে না।

Updated By: Nov 3, 2011, 10:49 PM IST

আজ থেকে এরাজ্যে জারি হতে চলেছে শিক্ষা সংক্রান্ত অর্ডিনান্স। এর ফলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কোর্ট, কাউন্সিল, সেনেট, সিন্ডিকেট তাদের কার্যক্ষমতা হারাতে চলেছে। নতুনভাবে সংস্থাগুলি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত পুরোনো প্রতিনিধিদের আর কোনও ক্ষমতাই থাকবে না। পাশপাশি আগামিকাল থেকেই রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থায় কোনও ছাত্র, শিক্ষাকর্মী, স্কীকৃত স্নাতক, গবেষক প্রতিনিধিও থাকবেন না।
একাধিক বিতর্কের মধ্যেই শুক্রবার থেকে এরাজ্যে জারি হতে চলেছে শিক্ষা সংক্রান্ত অর্ডিনান্স। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে দলতন্ত্রমুক্ত করতেই এই উদ্যোগ বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। একবার দেখে নেওয়া যাক নতুন অর্ডিনান্সে কী কী থাকছে।
 
প্রথমত, উপাচার্য নিয়োগ হবে সার্চ কমিটির মাধ্যমে। কমিটিতে থাকবেন আচার্য মনোনীত সদস্য, ইউজিসির সভাপতি মনোনীত সদস্য, সেনেট দ্বারা মনোনীত সদস্য। দ্বিতীয়ত, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখা হবে শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার ওপর। তৃতীয়ত, উপাচার্য কোনওভাবেই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য হতে পারবেন না। চতুর্থত, উপাচার্যদের অপসারণেরও ব্যবস্থা থাকছে নতুন অর্ডিনান্সে। তবে সেক্ষেত্রে তাঁকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দেওয়া হবে।
 
নতুনভাবে গঠিত সেনেটে নির্বাচিত প্রতিনিধির থেকে মনোনীত প্রতিনিধির সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পনেরটি কলেজের অধ্যক্ষ, একবছর মেয়াদকালের জন্য সেনেটের সদস্য হবেন। একমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধি হবেন স্নাতক স্তরের পাঁচজন শিক্ষক। ছাত্রছাত্রী, অশিক্ষক কর্মী, আধিকারিক, স্নাতক, রিসার্চ স্কলার, বিধায়ক, বিভিন্ন কর্মচারী ও শিক্ষক ইউনিয়ন থেকে সরকার মনোনীত প্রতিনিধিরা এখন থেকে আর থাকবেন না।
 
এবার থেকে সহ উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা পুরোপুরি চলে যাচ্ছে রাজ্য সরকারের হাতে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার আচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে সহ উপাচার্যকে নিয়োগ করবেন। শুধু তাই নয়, তাঁকে অপসারণের ক্ষমতাও থাকবে। সবমিলিয়ে শিক্ষাকে কোনওরকম দলতন্ত্র মুক্ত করার জন্যই নতুন অর্ডিনান্সে রাজ্য সরকারের দাবি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যেখানে নির্বাচন থেকে মনোনয়নের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বেশি, সেখানে গণতন্ত্র কতটা স্থাপন করা সম্ভব।

.