ইকবালপুর কাণ্ডে সিকন্দরকে আড়াল করতে পুলিসের ওপর চাপ দিয়েছিল যুব তৃণমূল নেতা
একবালপুর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মূল অভিযুক্তকে আড়াল করতে পুলিসের ওপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠল এক যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। পুলিস সূত্রে খবর, তিন তিনটি খুনে অভিযুক্ত সিকন্দরকে ছাড়াতে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত একবালপুর থানায় বসে তার হয়ে সওয়াল করে যান স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা বিশ্বজিত লালা। কিন্তু পুলিসের জেরার মুখে সিকান্দর খুনের কথা স্বীকার করতেই, থানা ছাড়েন বিশ্বজিত।
একবালপুর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মূল অভিযুক্তকে আড়াল করতে পুলিসের ওপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠল এক যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। পুলিস সূত্রে খবর, তিন তিনটি খুনে অভিযুক্ত সিকন্দরকে ছাড়াতে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত একবালপুর থানায় বসে তার হয়ে সওয়াল করে যান স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা বিশ্বজিত লালা। কিন্তু পুলিসের জেরার মুখে সিকান্দর খুনের কথা স্বীকার করতেই, থানা ছাড়েন বিশ্বজিত।
বিশ্বজিত লালা। একবালপুর, খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ এলাকার যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। একবালপুরে তিন তিনটি খুনের অন্যতম অভিযুক্ত মহঃ সিকান্দরের ঘনিষ্ঠ এই বিশ্বজিত। পুষ্পা সিং নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই সিকান্দরের দিকেই ছিল সন্দেহের তির। একবালপুর থানায় সিকান্দরের বিরুদ্ধেঅভিযোগ দায়ের করে পুষ্পার পরিবার। শনিবার রাতে সিকান্দরকে আটক করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর,আটক সিকান্দরকে ছাড়াতে রাতেই আসরে নামেন যুব তৃণমূল নেতা বিশ্বজিত লালা। রাত সাড়ে দশটা থেকে-রাত দুটো। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা একবালপুর থানায় বসে ছিলেন বিশ্বজিত। এই সময়ের মধ্যে বারবার পুলিসকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, সিকান্দর ভাল ছেলে। সে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে না।
কিন্তু পুলিস স্পষ্টই বিশ্বজিতকে জানিয়ে দেয়, তাদের হাতে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে সিকান্দরের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে সিকান্দরও জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। এরপরই থানা ছেড়ে চলে যান বিশ্বজিত।
পুলিস সূত্রে খবর, শুধু শনিবার নয়। তেসরা এপ্রিল থেকে যতবার সিকান্দরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয়েছে, ততবারই সিকান্দরের সঙ্গী ছিলেন বিশ্বজিত লালা। সিকান্দরের সঙ্গে থানায় যাওয়ার কথা কবুল করে নিয়েছেন তিনি।
ছাত্র পরিষদের কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে হাতেখড়ি বিশ্বজিতের। অভিযোগ, এই সময় থেকেই সমাজ বিরোধীদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা। বন্দর এলাকার দাগী দুষ্কৃতি বিরজুর ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিত। ছাত্র পরিষদে থাকার সময় , বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে গ্রেফতার করা হয় বিশ্বজিতকে। দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন কলেজে ছাত্র সংগঠন দেখার পাশাপাশি বিশ্বজিত প্রোমোটিং ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত হয়ে পড়েন। রাজ্যে পালা বদলের পর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন বিশ্বজিত লালা। ভোটের মুখে একবালপুর কাণ্ডে বিশ্বজিতের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় আরও একবার অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। ২৪ ঘণ্টার জন্য সিজার মণ্ডল এবং সন্দীপ সরকারের রিপোর্ট, কলকাতা।