Sujan Chakraborty: ইডি-সিবিআই চেষ্টা করলে রাস্তাতেও টাকা পাওয়া যাবে: সুজন
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশান করে সুজন বলেন, হাঙ্গার ইন্ডেক্স কেন, যেকোনও ইন্ডেক্স দিয়ে মাপলেই মোদির আমলে দেশের অবনতি হচ্ছে। তা গণতন্ত্র হোক কিংবা আর্থসামাজিক অবস্থা
মৌমিতা চক্রবর্তী: হাওড়ার শিবপুরের একটি আবাসনে গাড়ি থেকে মিলেছে কোটি টাকা, গহনা। অন্যদিকে, তাঁর ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার পর জেলে গিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গোরুপাচার মামলায় জেলে অনুব্রত মণ্ডল। এনিয়ে ফের মুখ খুললেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী। এনিয়ে তিনি বলেন, ঝাঁকে ঝাঁকে টাকা উদ্ধার হচ্ছে। অপা থেকে মণ্ডল পরিবার। খাটের তলায় টাকা। এত টাকা এল কোথা থেকে? ইডি সিবিআই নাড়া দিলে রাস্তা থেকেও টাকা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন-গাড়ি থেকে উদ্ধার কোটি টাকা-গহনা, শিবপুরের বন্ধ ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে তল্লাশি পুলিসের
রাজ্যের প্রভাশালী নেতাদের কুকথা নিয়েও সরব হয়েছেন সুজন। তিনি বলেন, তৃণমূল বা বিজেপির মানুষের কাছে বলার মতো কোনও কথা নেই। উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে পারবে না বলেই একে অন্যের দিকে কুকথা ছুড়ছে। এলেবেলে লেভেল ছেড়ে দিলাম, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বলছেন জিভ কেটে নেব, দিলীপ ঘোষ বলেন মুখে পা দেব। এসব বললে বুঝতে হবে সন্ত্রাসকে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের বিজয় সম্মেলনী, বিজয়া বিসর্জনের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিভিন্ন স্তরের নেতা তারা দুর্নীতি নিয়ে বার্তা দিচ্ছেন। তৃণমূল থেকে দুর্নীতি বাছলে কম্বলের লোম থাকবে না। পুরো দলটাই তো দুর্নীতিবাজদের দিয়ে তৈরি। দলে সবাই নেতা হতে চান বলে আজ সরব হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত। এনিয়ে সুজন বলেন, বারাসতের এই বিধায়ক আদতে অভিনেতা। তিনি কতটা জনসংযোগ রেখে চলেন জানা নেই। ইডির আধিকারিকরা মানিকগঞ্জের বাড়ি গেলেও চিরঞ্জিত ঘনিষ্ঠ বাড়িতে কেন যায়নি। তা নিয়ে ওনার আক্ষেপ থাকতে পারে। সবই ভাগাভাগির খেলা। চিরঞ্জিত ঘনিষ্ঠরা কম পেয়েছেন বলে হয়তো এত কথা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েছেন মমতা। এনিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলেন, আমরা তো বলব যাওয়া উচিত। সরকারি বৈঠক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ডেকেছেন। এটাই তো স্বাভাবিক বৈঠক। উনি এগুলোতে যাবেন না। কিন্তু পারিষদ ছাড়া ফাইল ছাড়া প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গিয়ে দেখা করবেন, আবদার করবেন, যাকে ধরবে ধরো পিসি-ভাইপো ছাড়া। রাজ্যের প্রাপ্য নিয়ে সরব হতে হলে সরকারি বৈঠকে হওয়া উচিত।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশান করে সুজন বলেন, হাঙ্গার ইন্ডেক্স কেন, যেকোনও ইন্ডেক্স দিয়ে মাপলেই মোদির আমলে দেশের অবনতি হচ্ছে। তা গণতন্ত্র হোক কিংবা আর্থসামাজিক অবস্থা।