অপ্রচলিত শক্তি দফতরের দুর্নীতি ফাঁস-এক্সক্লুসিভ ২৪ ঘণ্টা
সরকারি দফতরে ঘুঘুর বাসা ভাঙতে গিয়ে রাজরোষে সরকারি ইঞ্জিনিয়র। জয় চক্রবর্তী নামে অপ্রচলিত শক্তি দফতরের ওই ইঞ্জিনিয়রকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক পদ থেকে। দফতরের অস্থায়ী নিরাপত্তা কর্মীদের বেতন-দুর্নীতি নিয়ে সরব হন তিনি।
সরকারি দফতরে ঘুঘুর বাসা ভাঙতে গিয়ে রাজরোষে সরকারি ইঞ্জিনিয়র। জয় চক্রবর্তী নামে অপ্রচলিত শক্তি দফতরের ওই ইঞ্জিনিয়রকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক পদ থেকে। দফতরের অস্থায়ী নিরাপত্তা কর্মীদের বেতন-দুর্নীতি নিয়ে সরব হন তিনি।
অপ্রচলিত শক্তি দফতরের অস্থায়ী নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য সরকার নির্ধারিত বেতন ছয় থেকে আট হাজার টাকা। নিরস্ত্র রক্ষীদের বেতন ৬৬৩৩ টাকা, সশস্ত্র রক্ষীদের বেতন ৮০২৬ টাকা। সুপারভাইজারদের বেতন ৭২৯৬ টাকা। অথচ বাস্তবে এই তিন ধাপের কর্মীরাই পান মাত্র তিন হাজার টাকা।
বছরের পর বছর চলে আসছে এই ধারা। কিছু দিন আগে দফতরের প্রশাসনিক পদের দায়িত্ব পান ইঞ্জিনিয়র জয় চক্রবর্তী। বেতন সংক্রান্ত দুর্নীতির বিষয়টি নজরে আসে এই সরকারি ইঞ্জিনিয়রের। দেখা যায়, যে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে এই কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে, তারাই অর্ধেকের বেশি বেতন নিয়ে নেয়। অভিযোগ, এই দুর্নীতিতে সামিল রাজ্য অপ্রচলিত শক্তি দফতরের বেশ কিছু কর্তাব্যক্তিও। নিজে উদ্যোগী হয়ে ওই বেসরকারি সংস্থাকে কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠান জয় চক্রবর্তী। জবাব না আসায় সংস্থার প্রাপ্য আটকে দেন।
অস্থায়ী কর্মীদের বেতন-দুর্নীতি নিয়ে কার্যত বিরক্ত ইঞ্জিনিয়র জয় চক্রবর্তী বিষয়টি জানান দফতরের অধিকর্তা সুশোভন ভট্টাচার্যকে। দফতরের ভাইস চেয়ারম্যান, রাজ্যের সেচ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নজরে আনেন বিষযটি। এরপরই ঘটে বিপত্তি। দফতরের প্রশাসনিক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় জয় চক্রবর্তীকে।
কেন এই সরকারি ইঞ্জিনিয়রকে প্রশাসনিক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তার সদুত্তর দেননি দফতরের অধিকর্তা। শুধু বেতন দুর্নীতিই নয়। অপ্রচলিত শক্তি দফতরে অস্থায়ী নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগও উঠছে। আগে নিয়োগ করা হয়েছে, এমন চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নতুন করে নিয়োগ দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ। দফতরের কর্তাদের একাংশের অভিযোগ, এর পিছনে হাত রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রশ্ন উঠছে, দুর্নীতিচক্র ফাঁস হয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কাতেই কী সরানো হচ্ছে জয় চক্রবর্তীকে?