বন্ধ হচ্ছে শহরে রেলের সবচেয়ে পুরনো টিকিট কাউন্টার ফেয়ারলি প্লেস, বদলে হতে পারে শপিং মল
আর মাত্র কিছুদিন। তারপরেই ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেবে ফেয়ারলি প্লেসের টিকিট কাউন্টার। খরচ অনেক কিন্তু নিম্নমুখী প্রায় নেই। এই কারণে কাউন্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়েই ফেলেছে রেলবোর্ডের সদস্যরা।
ওয়েব ডেস্ক: আর মাত্র কিছুদিন। তারপরেই ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেবে ফেয়ারলি প্লেসের টিকিট কাউন্টার। খরচ অনেক কিন্তু নিম্নমুখী প্রায় নেই। এই কারণে কাউন্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়েই ফেলেছে রেলবোর্ডের সদস্যরা।
ছোট্ট একটা ব্রেকিং নিউজ। কলকাতায় রেলের সবচেয়ে পুরনো টিকিট কাউন্টার ফেয়ারসি প্লেস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল রেল বোর্ড। কী হবে তার বদলে? রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিকিট কাউন্টার তুলে দিয়ে সেখানে শপিং মল তৈরি করা হতে পারে।
হইহই কাণ্ড। কেন ঐতিহ্যবাহী টিকিট কাউন্টার তুলে দিতে চলেছে রেল? ফেয়ারলি প্লেসে ১১টি কাউন্টির আছে। একটি কাউন্টার বিদেশিদের জন্য সংরক্ষিত। একসময় পর্যন্ত তিল ধারনেরও জায়গা থাকত না। কিন্তু তারপর দ্রুত বদলে গেছে গোটা বিশ্বটাই। বদলেছে রেলও। রেলের তথ্য বলছে, শহরতলির ৩৫ শতাংশ মানুষ এখন বাড়িতে বসে কম্পিউটারে টিকিট কাটেন। দ্বিতীয় কারণ অলিগলিতে গজিয়ে ওঠা রিজার্ভেশন কাউন্টার। ফলে দশ বছর আগেও যেখানে যাত্রীদের গন্তব্য ছিল হয় কয়লাঘাটা নয়তো ফেয়ারলি প্লেস তাঁদের আসার প্রয়োজন অনেকটাই কমেছে।
লাভ-ক্ষতির খাতা নিয়ে বসেছে রেল। ফেয়ারলি প্লেসের ১১টি কাউন্টারে ৩০জন কর্মী। সিকিউরিটি ধরলে প্রায় জনা ৫০। অফিস চালানোর হিসেব ধরে মাসে খরচ প্রায় ১৭-১৮ লাখ টাকা। আর টিকিট বিক্রি? তথ্য বলছে পুজোর একমাস বাদ দিয়ে গড়ে দিন প্রতি পাঁচ হাজার টাকার টিকিটও বিক্রি হয় না ফেয়ারলিতে। রেলের পরিভাষায় সি-গ্রেড কাউন্টার যেখানে আয়ের থেকে ব্যয় বেশি। ফলে বন্ধ কাউন্টার। আপত্তি তুলেছে ইউনিয়নগুলি। ফেয়ারলির দেওয়ালজুড়ে প্রতিবাদের ঝড়।