ভাড়াবড়ি না ছাড়ায় দম্পতিকে প্রাণনাশের হুমকি দমকলমন্ত্রীর ছেলের
ভাড়াবাড়ি না ছাড়ায় এক দম্পতিকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল দমকলমন্ত্রীর ছেলে ফৈয়াজ খানের বিরুদ্ধে। সুবিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন মধ্য কলকাতার বাসিন্দা ওই দম্পতি। এরপর হুমকির মাত্রা আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই দম্পতি।
ভাড়াবাড়ি না ছাড়ায় এক দম্পতিকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল দমকলমন্ত্রীর ছেলে ফৈয়াজ খানের বিরুদ্ধে। সুবিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন মধ্য কলকাতার বাসিন্দা ওই দম্পতি। এরপর হুমকির মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই দম্পতি।
নিউ মার্কেট এলাকায় ১১/১ কিড স্ট্রিট বহুতলের ৩ তলায় স্ত্রী এবং ৩ সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকেন ফৈয়াজ সামস। একসময় সামস পরিবারই ছিল বাড়িটির মালিক। পরে সামস পরিবার বাড়িটি বিক্রি করে দিলেও ভাড়াটে হিসেবে থেকে যান সামস দম্পতি। ২০০৯ ফের বাড়িটির মালিকানার হাতবদল হয়। ইনভেন্ট রিয়ালটি প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার নামে বাড়িটি কিনে নেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জাভেদ খানের ছেলে ফৈয়াজ খান। সেসময় সামস দম্পতি সহ বাড়িটিতে ভাড়া থাকতেন প্রায় ২০ টি পরিবার। ২ টো হোটেলও চলত এখানে।
অভিযোগ, সেময় ভাড়াটে উচ্ছেদের কাজে এলাকার প্রভাবশালী যুব কংগ্রেস নেতা ফৈয়াজ সামসকে ব্যবহার করেন জাভেদ খানের পুত্র। বিপত্তি বাধে জাভেদ খান দমকলমন্ত্রী হওয়ার পর। অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মন্ত্রীর ছেলে তাঁদের বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। বাড়ি না ছাড়লে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হুমকির মাত্রা বাড়তে থাকায় সুবিচারের আশায় ১৪ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী, নগরপাল এবং ডিসি সেন্ট্রালের কাছে অভিযোগ জানান সামস দম্পতি। দমকল মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় নিউ মার্কেট থানাতেও। এই অভিযোগের পর হুমকির মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে বলে অভিযোগ সামস দম্পতির।
এমনকি মধ্য কলকাতার টোটি লেনে সামসের হোটেলেও অভিযান চালায় দমকল বিভাগ। হোটেলের ফায়ার লাইসেন্স না থাকার অভিযোগ এনে সামসকে গ্রেফতারও করে পুলিস। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর এই মুহূর্তে একরাশ আতঙ্কে কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটছে সামস পরিবারের। হুমকি, ভীতি প্রদর্শনের সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন দমকল মন্ত্রীর ছেলে ফৈয়াজ খান। পরিসংখ্যান বলছে সদর স্ট্রিট এবং সংলগ্ন এলাকায় বার, ডিস্কো থেক সহ প্রায় একশো বাইশটি হোটেল চলছে বিনা ফায়ার লাইসেন্সে। এই অবস্থায় কেন শুধুমাত্র সামস ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে অভিযান চালান হল তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি দমকল কর্তারা।