সাইটে ভুয়ো ছবি, বাড়িতে আসছেন গ্রাহকরা, মানসিক যন্ত্রণায় যাদবপুরের এক পরিবার
ঘটনাটি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়ির বাইরে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজিতে বড় বড় করে লেখা সতর্কবার্তা। একইসঙ্গে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে চলেছে নজরদারি ক্যামেরা। যাদবপুরের এক সাধারণ বাড়ির বাসিন্দার এমনই দশা হয়েছে এখন। কেন এই নিরাপত্তার বহন? ভিভিআইপি নাকি? আজ্ঞে, না। একটি সেক্স সাইটে দুই মহিলার ছবি দিয়ে এই বাড়ির ঠিকানাই দেওয়া হয়েছে। আর সে কারণেই হামলে পড়ছেন উত্সাহী যুবকরা।
যাদবপুরে সদ্য বিবাহিত স্ত্রী, মা-বাবা ও ৪০ বছরের দিদিকে নিয়ে থাকেন ২৭ বছরের তরুণ। অতিসম্প্রতিই তাঁদের বাড়িতে ভিড় জমতে থাকে 'গ্রাহক'দের। সন্ধের পরেই অত্যাচার বেশি করে শুরু হয়। কেন এমনটা হল? একটি পর্ন সাইটে দুই তরুণীর ছবি দিয়ে ওই বাড়ির ঠিকানাই লেখা হয়েছে। আর তার জেরেই গোলমাল। ভিড় জমাচ্ছেন 'গ্রাহক'রা। বাধ্য হয়েই বাড়ির বাইরে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাতে হয়েছে, 'কোনও অ্যাপ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্র ধরে আপনি আসলে দরজার ঘণ্টা বাজাবেন না। নচেত্ পুলিসে খবর দেব'।
ঘটনাটি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিস। তারা জানিয়েছে, গুরুতর জায়গায় তদন্ত রয়েছে। এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। ওই পরিবারকে সহযোগিতা করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, অক্টোবরে একটি ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। ৪০ বছরের মহিলা জানালেন, পরিচিত কেউই ছবি দিয়ে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন অক্টোবরে। সেক্স চ্যাটের দুটি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপেও ঠিকানা ও ফোন নম্বর শেয়ার করা হয়েছিল। ৩ অক্টোবর থেকেই তাঁর ফোনে আসতে শুরু করে একের পর এক অশ্লীল বার্তা।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয়েছে ২৭ বছরের তরুণীর। তাঁর কথায়, ''সিসিটিভ ক্যামেরা লাগাতে হয়েছে। একের পর এক ফোন আসছে। বারবার বারণ করেও কাউকে ঠেকাতে পারছি না। অনেকেই আসছেন দরজায়''।
যাদবপুরের ওই পরিবারের ধারণা, তাঁদের পরিচিত কেউই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে এমনটা করে থাকতে পারেন। পরিবারকে হেনস্থা করাই তাঁর উদ্দেশ্য। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
আরও পড়ুন- এমএমএসে নগ্ন মহিলা তিনি নন, সন্তানদের প্রমাণে আড়াই বছরের লড়াই শেষে জয়ী মা