এখনও অগ্নিগর্ভ গার্ডেনরিচ; ঘটনায় গ্রেফতার ৪

গার্ডেনরিচে দুষ্কতীর গুলিতে পুলিসের এস আই নিহত হওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতেরা হল ইবনে সৌদ, গুলাম তালিম ওরফে আফতাব, আবদুল মোতিন ওরফে রাজু এবং  শেখ সুভান।  ঘটনার পরই পালানোর সময় ইবনেকে ধরে ফেলে পুলিস। সেই সময়  পর্যাপ্ত পুলিস কর্মী না থাকার সুযোগ নিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় বোরো চেয়ারম্যান মহম্মদ ইকবালের তৃণমূল বাহিনী ছাড়িয়ে নিয়ে যায় ইবনেকে। জানা গিয়েছে, ইবনে মহম্মদ ইকবালের ঘনিষ্ঠ। পরে ফের তাকে গ্রেফতার করা হয়।

Updated By: Feb 12, 2013, 02:37 PM IST

গার্ডেনরিচে দুষ্কতীর গুলিতে পুলিসের এস আই নিহত হওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতেরা হল ইবনে সৌদ, গুলাম তালিম ওরফে আফতাব, আবদুল মোতিন ওরফে রাজু এবং  শেখ সুভান।  ঘটনার পরই পালানোর সময় ইবনেকে ধরে ফেলে পুলিস। সেই সময়  পর্যাপ্ত পুলিস কর্মী না থাকার সুযোগ নিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় বোরো চেয়ারম্যান মহম্মদ ইকবালের তৃণমূল বাহিনী ছাড়িয়ে নিয়ে যায় ইবনেকে। জানা গিয়েছে, ইবনে মহম্মদ ইকবালের ঘনিষ্ঠ। পরে ফের তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার গার্ডেনরিচের হরিমোহন ঘোষ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গার্ডেনরিচ। দুই ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক পুলিসকর্মীর। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার কিছু পরেই কংগ্রেসকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করান স্থানীয় বিধায়ক ও পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে গলা মেলালেন তৃণমূলের ছাত্রনেতা শঙ্কুদেব পন্ডা। তবে তাঁর দাবিকে কার্যত ভুল প্রমাণ করে ডিসি পোর্ট ভি সলোমন সাংবাদিকদের জানান, কলেজ নির্বাচন ঘিরে ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যেই ঝামেলার জেরে এলাকায় অশান্তি ছড়িয়েছে।
তবে এখানেই শেষ নয়, সূত্রের খবর, শেখ সোভান নামের যে দুষ্কৃতি গুলি চালায় তাকে প্রথমেই চিহ্নিত করে ধরে ফেলে পুলিস। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইকবাল সহযোগীরা পুলিসের হাত থেকে শেখ সোভানকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
একই সঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতী মোক্তার স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জিত শীলের ছেলে অভিজিৎ শীলের ওপর হামলা চালিয়েছেন। অন্যদিকে সেই দাবিকেই নস্যাৎ করে দেয় স্বয়ং অভিজিৎ শীলের স্বীকারোক্তি। ডাক্তারের উপস্থিতিতে পুলিসের সামনেই অভিজিৎ স্বীকার করে নেয় বোমা বানাতে গিয়েই বিস্ফোরণ ঘটে।
এরসঙ্গেই ফিরহাদ হাকিম আরও দাবি করেছেন কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিআইএমও এই হামলার সঙ্গে জরিত ছিল। স্থানীয় তৃণমূল বরো কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইকবাল তথা মুন্নাকে লক্ষ্য করেই মোক্তারের লোকেরা গুলি চালিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁকে বাঁচাতে গিয়েই এসআই তাপস চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও দাবি ফিরহাদ হাকিমের।
তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি ঘটনায় মুন্না ভাই-এর ভূমিকা, অভিজিৎ শীলের স্বীকারোক্তি এবং ইমলেকে পুলিসের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার খবরে দুর্বল হয়ে পড়েছে ফিরহাদ হাকিম এবং শঙ্কুদেব পন্ডার তত্ত্ব।

.