SSC Scam: এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে গ্রেফতার প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়
নিজাম প্যালেসে ম্যারাথন জেরার, তাঁকে গ্রেফতার করল সিবিআই। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস থেকে নথি সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায় ও বিক্রম দাস: ব্যবধান মাস তিনেকের। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসবাদের পর, এবার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল সিবিআই। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তিনি। আগামিকাল, শুক্রবার ধৃতকে পেশ করা হবে আদালতে।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এখন জেল হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁকে যেদিন হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাল সিবিআই, সেদিনই গ্রেফতার করা হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে। কেন? এদিন নিজাম প্য়ালসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল কল্যাণময়কে। তাঁকে প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, জেরায় কোনও প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি। শুধু তাই নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশেরও প্রমাণ মিলেছে। দু'জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে।
হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মামলা তদন্ত করছে সিবিআই। স্রেফ উপদেষ্টা কমিটির ৫ সদস্য নয়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআই দায়ের করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার আধিকারিকরা। জুনে যখন সল্টলেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে যায় ৬ সদস্যের তদন্তকারী দল, তখন পর্ষদ সভাপতি ছিলেন কল্য়াণ গঙ্গোপাধ্যায়। সেদিন তাঁকে অফিসে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পর্ষদ অফিসে যাননি কল্য়াণময়। এরপর বাড়ি থেকে ডেকে এনে পর্ষদের অফিসেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তৎকালীন সভাপতিকে। এর কয়েকদিন পর, ২১ জুন পর্ষদ সভাপতির পদে মেয়াদ শেষ হয় কল্যাণময়ের। কিন্তু তাঁকে আর পদে বহাল রাখেনি রাজ্য। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নয়া সভাপতি হন রামানুজ গঙ্গোপাধ্য়ায়। বারাসত স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Supratim Sarkar: বাগুইআটি কাণ্ডের জের! অপসারিত বিধাননগরের পুলিস সুপার সুপ্রতিম সরকার
এর আগে, চলতি বছরের অগস্ট মাসে এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার হন উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান এসপি সিনহা ও সদস্য অশোক সাহা। গ্রেফতারি আগে দু'জনকেই নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়ে ম্যারাথন জেরা করেছিলেন তদন্তকারীরা। সেই জেরার বিস্তর অসঙ্গতি ধরা পড়ে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
এদিকে গতকাল, বুধবার এসএসসি মামলার শুনানি হয় ব্য়াঙ্কশাল কোর্টে। আদালতে কান্না ভেঙে পড়েন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ভিডিয়ো কলে তিনি বলেন, 'মেয়ে আমেরিকায় থাকে। ওর অসুস্থতার খবর পেলাম। আমাকে জামিন দিন। আমাকে বাঁচতে দিন'। দাবি করেন, 'আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার বাড়িতে ইডি ৩০ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছে। কিছু পাওয়া যায়নি'।