রেলে নিয়োগে দুর্নীতি, অভিযোগের তির শিয়ালদহ ডিআরএম অফিসের দিকে
রেলে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করল বাঁশদ্রোণী থানার পুলিস। গতকাল রাতে গড়িয়া এলাকার একটি অফিস থেকে বিশ্বজিত মণ্ডল নামে যুবককে গ্রেফতার করা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণাচক্রের মূল পাণ্ডাদের কাছে তা পৌঁছে দিত বলে জানিয়েছে ধৃত ব্যক্তি।
রেলে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করল বাঁশদ্রোণী থানার পুলিস। গতকাল রাতে গড়িয়া এলাকার একটি অফিস থেকে বিশ্বজিত মণ্ডল নামে যুবককে গ্রেফতার করা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণাচক্রের মূল পাণ্ডাদের কাছে তা পৌঁছে দিত বলে জানিয়েছে ধৃত ব্যক্তি।
ফের রেলে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার ঘটনা সামনে এল। অভিযোগ, হাওড়া তিন বাসিন্দাকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৮ লক্ষের বেশি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। প্রতারণাচক্রের মূল পাণ্ডা হিসাবে উঠে এসেছে পিনাকীরঞ্জন মণ্ডল ও রানা পালচৌধুরীর নাম। পিনাকীরঞ্জন মণ্ডলের বাড়ি বেহালার ঠাকুরপুকুরে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ঘোরানোর পর অভিযুক্তরা ৪টি চেক দিলে সেগুলির মধ্যে ২টি বাউন্স করে ও বাকী ২টি চেক ব্যাঙ্ক থেকেই আটকে দেওয়া হয়।
ধৃত বিশ্বজিত মণ্ডল রানা পালচৌধুরীর স্ট্র্যান্ডরোডের অফিস থেকে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে পৌঁছে দিত পিনাকীরঞ্জন ঠাকুরের গড়িয়ার অফিসে। গড়িয়ার অফিসে বিশ্বজিতের কাছে টাকা না পেয়ে বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিযোগকারীরা। এরপরই পুলিস এসে গ্রেফতার করে বিশ্বজিতকে। প্রতারণাচক্রের সঙ্গে রেলের পদস্থ কর্তাদের জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অভিযোগকারীরা। শিয়ালদহ ডিআরএমের অফিস থেকেই তাঁদের ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। পিনাকীরঞ্জন মণ্ডল ও রানা পালচৌধুরী পলাতক। ধৃতকে জেরা করে চক্রের সঙ্গে জড়িতদের খোঁজে তল্লাসি শুরু করেছে পুলিস।