গঙ্গাকে টেমস বানানোর স্বপ্নে বাস্তবের রং লাগাবে পর্যটন দফতর
চেনা নদীকেই এবার আপনি দেখবেন একেবারে অজানা, অচেনা রুপে। নদীর বাতাস গায়ে লাগিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মনে হবে পৌঁছে গেছেন লন্ডনের টেমস কিম্বা রাইন নদীর পাড়ে। টেমসের আদলে গঙ্গাকে সাজিয়ে তোলার স্বপ্ন মুখ্যমন্ত্রীর বহুদিনের। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নিয়েছে পর্যটন দফতর। খোলনলচে বদলে হুগলিতে গঙ্গার দুপাড়কে নতুন কলেবরে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য।
চেনা নদীকেই এবার আপনি দেখবেন একেবারে অজানা, অচেনা রুপে। নদীর বাতাস গায়ে লাগিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মনে হবে পৌঁছে গেছেন লন্ডনের টেমস কিম্বা রাইন নদীর পাড়ে। টেমসের আদলে গঙ্গাকে সাজিয়ে তোলার স্বপ্ন মুখ্যমন্ত্রীর বহুদিনের। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নিয়েছে পর্যটন দফতর। খোলনলচে বদলে হুগলিতে গঙ্গার দুপাড়কে নতুন কলেবরে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য।
কলকাতা ও হাওড়ায় গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়নের কাজ প্রায় শেষ। এবার হুগলিতে কাজ শুরু করতে চলেছে পর্যটন দফতর। গঙ্গা পাড়ের মোট ২৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলবে সৌন্দর্যায়নের কাজ। প্রকল্পের খরচ আটাশ কোটি। কী কী থাকছে সৌন্দর্যায়নে? তালিকা খুব ছোট নয়। নদীর দুপাড়ে থাকবে হোটেল, রিসর্ট, রেস্টুরেন্ট, বার। স্পা সেন্টার।
ব্রিটিশ উপনিবেশ ও ফরাসি উপবিনেশের ইতিহাস, স্থাপত্য, শিল্পকলাও উঠে আসবে গঙ্গা পাড়ের সৌন্দর্যায়নে। শ্রীরামপুরের গোস্বামী রাজবাড়িতে হোটেল,চন্দননগরের লালকুঠিতে হেরিটেজ বুটিক হোটেল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিলাসবহুল লঞ্চে থাকবে ভ্রমণের ব্যবস্থা।
মূলত বিদেশি পর্যটক টানতেই সরকারের এই উদ্যোগ। জানিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। গঙ্গার দুপাড়ে বেশকিছু বাড়িতে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থাও তৈরি করা হবে। সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর টেমস নদীর আদলে গঙ্গার সৌন্দর্যায়ন স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতেই এখন ব্যস্ত রাজ্যের পর্যটন দফতর।