গুঁড়িয়ে দেওয়া হল সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল
পুরসভার জমিতে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল। সেই স্কুলই রাতের অন্ধকারে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে কসবার সুইনহো স্ট্রিটে। অভিযোগ, স্থানীয় এক প্রোমোটারই কারও তোয়াক্কা না করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
পুরসভার জমিতে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল। সেই স্কুলই রাতের অন্ধকারে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে কসবার সুইনহো স্ট্রিটে। অভিযোগ, স্থানীয় এক প্রোমোটারই কারও তোয়াক্কা না করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়ে, পুলিস কাজ আটকালেও এখনও ওই প্রমোটারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কসবা তালবাগানের উনত্রিশের সুইনহো স্ট্রিট। এই জমিতেই গত পঞ্চাশ বছর ধরে চলত সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত আদর্শ হিন্দু প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত পঁচিশ বছর ধরে পুরসভার লিজ দেওয়া জমিতে চলেছে এই হিন্দি মাধ্যমের স্কুল। কিন্তু দু হাজার নয় সালে পঁচিশ বছরের লিজ শেষ হয়ে যায়। সম্প্রতি সেই লিজ পুনর্নবীকরণের উদ্যোগও নিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুল ভবন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্কুল লাগোয়া জমিতে ফ্ল্যাট তুলছেন এক প্রমোটার। তিনিই হাতিয়ে নিয়েছেন স্কুলের জমি। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে প্রমোটারের লোকজনই গুঁড়িয়ে দিয়েছে স্কুল। মালবাহী লরি যাতে যাতায়াত করতে পারে তার জন্য স্কুলবাড়ি ভাঙা হয়েছে। আর এই কাজে তাকে মদত দিয়েছে পাড়ারই কয়েকজন।
এই স্কুলে পড়ত দেড়শো পড়ুয়া। ছিলেন চারজন স্থায়ী এবং একজন পার্শ্ব শিক্ষকও। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলবাড়ি কসবার মতো
এলাকায় রাতারাতি ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়। কার অনুমতিতে স্কুল ভেঙে ফেলার মতো কাজ করতে পারেন প্রোমোটার। পুরসভার জমিতে সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত স্কুল।
সেই স্কুলবাড়ি ভেঙে ফেলতে নিদেনপক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা সাংসদের অনুমতি প্রয়োজন বৈকি। তবে সেসব অনুমতির ধার ধারেন নি ওই প্রমোটার। প্রতিবাদ করতে গেলে
প্রমোটার স্থানীয় বাসিন্দাদের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। না আছে সরকারি অনুমতিপত্র, না আছে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে লিখিত কাগজপত্র। অথচ শুক্রবার থেকে টানা
চারদিন ধরে স্কুল ভাঙার কাজ চালিয়ে গেলেন প্রোমোটার। স্থানীয় বাসিন্দাদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার পুলিসের হস্তক্ষেপে কাজ বন্ধ হলেও,এখন কোথায়
স্কুল। নতুন করে স্কুল তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রোমোটার। তবে আগামী আটই নভেম্বর থেকে স্কুলে পরীক্ষা থাকায় এখন মাথায় হাত স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে পড়ুয়া এবং
অভিভাবকদের। স্কুলবাড়ি নেই, তাই অনিশ্চিত স্কুলের দেড়শো পড়ুয়ার ভবিষ্যত। বছরের মাঝখানে কী হবে পড়ুয়াদের সেই প্রশ্নই এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে অভিভাবক থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ, সকলকে।