Governor C V Ananda Bose: 'নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকা নিরপেক্ষ হওয়া উচিত', বার্তা রাজ্যপালের
'হ্যাঁ, রক্ত ঝরেছে। মানুষের রক্তের প্রতিটি ফোঁটার জন্য দায়ি নির্বাচন কমিশন', বললেন সিভি আনন্দ বোস।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: 'নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকা নিরপেক্ষ হওয়া উচিত'। নিজের অবস্থানেই অনড় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বললেন, 'কমিশনের ভূমিকায় বাংলার মানুষ হতাশ'।
পঞ্চায়েত মনোনয়নে পর্বে অশান্তি। স্রেফ রাজভবনে কন্ট্রোলরুম খোলা নয়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়ে দিলেন রাজ্যপাল। কেন? সিভি আনন্দ বোস বলেন, 'ভোটারের জীবনরক্ষা করা কার দায়িত্ব? এটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। পুলিস-প্রশাসনের থেকে বেশি এক্তিয়ার তার। বাংলা আশা করে, প্রত্যেকের তার দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ হতে হবে। রক্ত ঝরেছে। মানুষের রক্তের প্রতিটি ফোটার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ি'।
এদিকে পদাধিকার বলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগকর্তা হলেন রাজ্যপাল। গত মাসেই রাজ্যের নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীবা সিনহার নাম প্রস্তাব করে ফাইল পাঠানো হয় রাজভবনে। এরপর তাঁকে নিয়োগ করেন রাজ্যপালই।
তাহলে? রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, 'একটা প্যানেল থেকে আমি নিয়োগ করেছিলাম। সেই প্যানেল পাঠিয়েছিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভা। সবাই আশা করেছিল যে, তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন। যা হচ্ছে, সবাই দেখছে। শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটা কোনও প্রতিশ্রুতি নয় বাংলায় মানুষের কাছে দায়বদ্ধতা। নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত। বাংলার মাটি থেকে হিংসাকে সমূলে উৎখাত করতে হবে'।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: তুঙ্গে সংঘাত! রাজীবা সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত রাজ্যপালের, কী হবে এবার?
এর আগে, নির্বাচন কমিশনার বিতর্কে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,'কমিশনারকে সরাতে গেলে ইমপিচমেন্টের পথে যেতে হবে। এত সহজ নয়। উনি ওঁর মতো কাজ করুক, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোটে লড়াই করি। আমরা লড়ে নেব, জিতে নেব'। জানান, 'আমাদের কাছে এরকম কোনও তথ্য নেই। এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। উনিই কমিশনারের নামে অনুমোদন দেন'।