মিডলম্যানের মতো কেন আচরণ করছে রাজ্য, PM-KISAN-র টাকা নিয়ে তোপ Dhankhar-এর

পুলিস-প্রশাসন ও সরকারি কর্মীদের আচরণ নিয়েও এদিনে রাজ্যকে নিশানা করেন রাজ্যপাল

Reported By: কমলাক্ষ ভট্টাচার্য | Updated By: Dec 25, 2020, 07:01 PM IST
মিডলম্যানের মতো কেন আচরণ করছে রাজ্য, PM-KISAN-র টাকা নিয়ে তোপ Dhankhar-এর

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ীয় জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়(Jagdeep Dhankar)।

শুক্রবার ভারতরত্ন অটলবিহারি বাজপেয়ীর জন্মদিনে রাজভবনে তাঁর ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ধনখড়। অটলবিহারির জীবন দর্শনের কথা তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যবাসীকে বড়দিনের শুভেচ্ছাও জানান তিনি।

আরও পড়ুন-ব্র্যান্ডিং বিতর্কের মাঝেই মুখ ঢেকে নতুন বিজ্ঞাপনে সৌরভ  

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনটিকে Good Governance Day হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।  আর এই সুযোগেই রাজ্য সরকারের একাধিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বরাবরের মতো সরব হলেন তিনি। কৃষি আইন থেকে করোনা অতিমারীতে কেন্দ্রের সাহায্য-সহ একধিক বিষয় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যপাল।

ধনখড় বলেন, বাংলার কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধির(PM-KISAN)টাকা থেকে বঞ্চিত। এর পেছনে রয়েছে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত। রাজ্য সরকার সেই টাকা নেয়নি। অন্নদাতাদের  ওই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কেন্দ্র সরাসরি টাকা দিচ্ছে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে। গোটা দেশে একই ব্যবসথা চলছে। সেখানে রাজ্য সরকার চলে আসছে কীভাবে! এটা চিন্তার বিষয়। রাজ্য সরকারকে এনিয়ে কড়া চিঠি লিখেছিলাম। প্রশ্ন করেছিলাম, রাজ্য কেন মিডল ম্যান হতে চাইছে?

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির ১৮,০০০ টাকা দেশের ৯ কোটিরও বেশি কৃষকদের মধ্যে বিলি করেছেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন এক ভাষণে তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে নিশানা করেন। বলেন, দেশের একমাত্র রাজ্য বাংলা যেখানে ওই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত কৃষকরা। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে পশ্চিমবঙ্গের ৭০ লাখ কৃষক ওই টাকা পাচ্ছেন না। অটলবিহারি বাজপেয়ীয় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সেই একই সুরেই রাজ্যকে আক্রমণ করেন ধনখড়।

আরও পড়ুন-ন্যানো হারানো জমিতে এবার কৃষিভিত্তিক শিল্প, কী বলছে সিঙ্গুর?

রাজ্যপাল বলেন, কেন্দ্রের সহায়তা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। করোনা অতিমারীর সময় কৃষকদের জন্য বিপুল টাকার প্যাকেজ এসেছিল রাজ্যে। রাজ্য সরকার তা নেয়নি। এনিয়ে আমি সরকারকে বলেছিলাম। তার কোনও জবাব সরকার দেয়নি। রাজ্য সরকার কোনও তথ্য জানতে চায় না।

পুলিস-প্রশাসন ও সরকারি কর্মীদের আচরণ নিয়েও এদিনে রাজ্যকে নিশানা করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, সরকারি কর্মীদের অনুরোধ, রাজনৈতিক দলের সদস্যের মতো আচরণ করবেন না। আপনারা public servant। আইন মেনে চলুন। কে কোন দল করেন তা আমি বুঝি না। রাজ্যপালের পদে থেকে বলছি, কেউ যদি আইন নিয়ে খেলা করে তাহলে আমি চুপ করে বসে থাকতে  পারব না।

.