Group-D Recruitment: কমিশন নাকি পর্ষদ; গ্রুপ ডি 'দুর্নীতি' মামলায় কাকে বিশ্বাস করব!: হাইকোর্ট
এদিন ওই মামলায় সওয়াল করতে গিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, সরকার স্কুল খোলার দোহাই দিয়ে অনিয়মের পাশে দাঁড়াচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদন: গ্রুপ ডি নিয়োগে আর্থিক লেনদেন? এনিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। আজ ওই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট।
কাকে বিশ্বাস করব? পর্ষদ নাকি কমিশন? মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই মন্তব্য করেন বিচারপতি হরিশ ট্য়ান্ডন। তিনি আরও বলেন, যদি অনিয়ম হয়েছে ধরেও নেওয়ায় যায় তাহলে তার জন্য দায়ী কে? সেই ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা খুব একটা সহজ নয়।
SSC-র গ্রুপ-ডি নিয়োগে (D Recruitment) দু্র্নীতির মামলায় প্রথমে সিবিআই (CBI) তদন্তেরই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নজরদারিতে এক বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল গঠন করা হয়েছিল।
এদিন ওই মামলায় সওয়াল করতে গিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, সরকার স্কুল খোলার দোহাই দিয়ে অনিয়মের পাশে দাঁড়াচ্ছে। শুধু গ্রুপ ডি নয়, গ্রুপ সি-র ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ উঠছে।
প্রসঙ্গত, গ্রুপ ডি পদে যে ৫৭৩ জনের নিয়োগ দুর্নীতির মামলা হয়েছে তাতে অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ শুক্রবার পর্যন্ত বজায় রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার।
আদালতের আরও নির্দেশ, আদালতের কাছে জমা পড়া ভুয়া নিয়োগ সুপারিশপত্র সঙ্গে বাগ কমিটির কাছে থাকা নথি মিলিয়ে দেখতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বৃহস্পতিবার কমিটির কোনো প্রতিনিধি তাদের কাছে জমা পড়া নিয়োগ সুপারিশপত্রের কিছু নমুনা মুখবন্ধ খামে জমা দেবে আদালতে।
আরও পড়ুন-Group-D Recruitment: CBI অনুসন্ধানের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের