GST-নিয়ে সায় ২২টি রাজ্যের, কলকাতায় বৈঠকের পর জানালেন অরুণ জেটলি
কলকাতার বৈঠক থেকে GST ফাঁস মুক্তির আশার আলো দেখছে মোদী সরকার। মমতার বাংলায় সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর অরুণ জেটলির দাবি, তামিলনাড়ু বাদে বাকি ২২টি রাজ্য GST-র খসড়া বিলে সায় দিয়েছে। ভরসার এই জায়গা থেকে সংসদের বাদল অধিবেশনে পণ্য পরিষেবা কর সংক্রান্ত সংশোধনী বিল আনতে চায় কেন্দ্র।
ওয়েব ডেস্ক: কলকাতার বৈঠক থেকে GST ফাঁস মুক্তির আশার আলো দেখছে মোদী সরকার। মমতার বাংলায় সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর অরুণ জেটলির দাবি, তামিলনাড়ু বাদে বাকি ২২টি রাজ্য GST-র খসড়া বিলে সায় দিয়েছে। ভরসার এই জায়গা থেকে সংসদের বাদল অধিবেশনে পণ্য পরিষেবা কর সংক্রান্ত সংশোধনী বিল আনতে চায় কেন্দ্র।
GST নিয়ে ঐকমত্যে পৌছতে কলকাতায় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের নেতৃত্বে বৈঠকে বসেন সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা। ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও। এমপাওয়ার্ড কমিটির বৈঠক শেষে জেটলির দাবি, তামিলনাড়ু বাদে সব রাজ্যই GST-র খসড়া বিলে সায় দিয়েছে।
২০১৭-র পয়লা এপ্রিল থেকে GST চালুর কথা বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন জেটলি। লোকসভায় এই সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল পাস হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে রাজ্যসভায় GST বিল পাস করাতে পারেনি মোদী সরকার। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে ব্যবধান ১৫ থেকে ৩-এ কমিয়ে আনে বিজেপি। এক লাফে উনপঞ্চাশ থেকে বেড়ে তাদের আসন সংখ্যা হয় ৫৪। কংগ্রেস ৬৪ থেকে কমে ৫৭-য় নেমে আসে। সামনেই সংসদের বাদল অধিবেশন। তাই GST ফাঁস আলগা করতে এই সময়টাকেই পাখির চোখ করছে কেন্দ্র।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে জেটলি জানিয়েছেন, সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে পণ্য পরিষেবা করের উর্দ্ধসীমায় কোনও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রাখা হবে না।
জিএসটি কার্যকর হলে শিল্পোন্নত রাজ্যগুলি রাজস্ব আদায়ে ক্ষতির মুখে পড়বে। কংগ্রেস শুরু থেকেই এই অভিযোগে সরব। উত্পাদনকারী রাজ্যগুলিও ক্ষতির আশঙ্কায় এক শতাংশ অতিরিক্ত কর বসানোর দাবি জানায়। জেটলি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রেরও ভাবনাচিন্তা রয়েছে। জটিলতার এই জায়গাগুলো কাটিয়ে ঐকমত্যে পৌছতে জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফের জিএসটি বিল নিয়ে বৈঠক হবে।
জুলাইয়ের বৈঠকে সবচেয়ে বড় হার্ডল দুটি-
১. জিএসটি লাগু হলে কোনও রাজ্যের বর্তমান রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ যাতে না কমে, তা নিশ্চিত করা ...
ঠিক যেকথা এদিন শোনা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে।
২. দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল করের দ্বৈত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা
কলকাতার বৈঠকে দেশের প্রায় সব রাজ্যকে যেভাবে পাশে পাওয়া গেছে, সেটাকেই কাজে লাগাতে চায় কেন্দ্র। সংসদে কংগ্রেসকে কোণঠাসা করে GST বিল পাস করিয়ে নেওয়াই এখন তাদের পাখির চোখ।