হরিদেবপুর কাণ্ড: দুষ্কতীদের থেকে বাঁচতে কিয়স্কে গা ঢাকা খোদ পুলিসের!
হরিদেবপুর কান্ডে 'বেনজির' ভূমিকা পুলিসের। দুষ্কৃতীদের থেকে বাঁচতে পুলিস কিয়স্কেই গা ঢাকা দিল পুলিস। বিনা বাধায় পুলিসের গুলিবৃষ্টি দুষ্কৃতীদের । গোটা ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে শহরের নিরাপত্তা।
ব্যুরো: হরিদেবপুর কান্ডে 'বেনজির' ভূমিকা পুলিসের। দুষ্কৃতীদের থেকে বাঁচতে পুলিস কিয়স্কেই গা ঢাকা দিল পুলিস। বিনা বাধায় পুলিসের গুলিবৃষ্টি দুষ্কৃতীদের । গোটা ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে শহরের নিরাপত্তা।
একি দুঃস্বপ্নের নগরী! পুলিস কিয়স্কের সামনেই বেপরোয়া দুষ্কৃতী তাণ্ডব ।
রাত সাড়ে বারোটার একটু বেশি। চলল এলোপাথাড়ি গুলি, বোমাবাজিতে সন্ত্রস্ত গোটা এলাকা। মদ্যপ সমাজবিরোধীদের গুলিতে যুবকের অকাল মৃত্যু। গুরুতর জখম দুই। সবথেকে আশ্চর্যের ঘটনা,গোটা ঘটনারই নীরব সাক্ষী থাকল উর্দিধারী প্রশাসন। সাধারণ মানুষকে বাঁচানো তো দূরের কথা, নিজের প্রাণ বাঁচাতেই তখন ব্যস্ত রক্ষককূল।
সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে না এসে পুলিস কিয়স্ককেই ঢাল করে গা ঢাকা দিল আইনরক্ষকেরা। হরিদেবপুরের কবরডাঙা তখন দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল।
পুলিসের এই ভূমিকায় তাজ্জব এলাকাবাসী । অবিলম্বে পানশালা বন্ধের দাবি উঠেছে।
তবে কি রাতের কলকাতা এখন এতটাই বিপজ্জনক ! মেট্রো পলিটন শহরে রাত সাড়ে বারোটা এমন কিছু রাত নয়। অনেকেই কাজ সেরে বাড়ি ফেরেন এসময়। পুলিসের সামনেই বেপরোয়া দুষ্কৃতীরাজ। গুলি,বোমাবাজি। তবে কি দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠছে এ শহর। কোথায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, দুষ্কৃতীদের চোখরাঙানিতে কি তবে এভাবেই রণেভঙ্গ দেবে রক্ষককূল। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন কাপুরুষতার এ কোন নজির রাখল শহরের উর্দিধারী প্রশাসন।