ফেরাল হাসপাতাল, পথেই প্রসবের পর মৃত্যু
রাজ্য সরকারি হেল্থ কার্ড থাকা সত্ত্বেও প্রসুতিকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করল দুটি সরকারি হাসপাতাল। রাস্তাতেই যমজ সন্তানের জন্ম দিয়ে মারা গেলেন প্রসূতি।
রাজ্য সরকারি হেল্থ কার্ড থাকা সত্ত্বেও প্রসুতিকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করল দুটি সরকারি হাসপাতাল। রাস্তাতেই যমজ সন্তানের জন্ম দিয়ে মারা গেলেন প্রসূতি।
কলকাতা প্রেস ক্লাবের উল্টো দিকের ফুটপাথে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে থাকতেন উষা দেবী। গতকাল রাতে প্রসব যন্ত্রনা হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চিত্তরঞ্জন সেবাসদন হাসপাতালে। পথেই একটি শিশু সন্তানের জন্ম দেন তিনি। অভিযোগ, তাঁকে ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেয় চিত্তরঞ্জন সেবাসদন। এই ধরনের হেল্থ কার্ডে ভর্তি নেওয়া যাবে না বলে হাসপাতালের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর উষা দেবীকে নিয়ে যাওয়া হয় শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে। সেখানেও ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেয় হয়। ইতিমধ্যেই আরও একটি শিশুর জন্ম দেন উষা দেবী। এর কিছু পরেই মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগ, তারপরও শিশু দুটিকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল। কনকনে ঠান্ডার মধ্যে ভোর পর্যন্ত ফুটপাতেই ঠাঁই হয় দুই সদ্যোজাতর।
যদিও, নজিরবিহীন এই অমানবিকতার অন্যতম অভিযুক্ত হাসপাতাল, চিত্তরঞ্জন সেবাসদনের দাবি, উষা দেবীকে সেখানে নিয়েই যাওয়া হয়নি। উষা দেবীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের নাম জড়ানোর পর তরিঘরি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক রিপোর্টে একথাই জানিয়েছে সেই কমিটি। আজ সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে দুই সদ্যোজাতকে ভর্তি করা হয়। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দায় সরব হয়েছে সব মহল।