Halloween 2022: কুয়াশাময় হিমেল হ্যালোউইন রাত! আজ শহরের এই সব জায়গার ধারকাছ দিয়েও যাবেন না...
Halloween 2022: ভূত নিয়ে অন্তত ইংরেজদের দোষ দেওয়া যায় না। যেটা বলা যায়, তা হল, ব্রিটিশ-যোগসূত্রে এদেশে খাঁটি ভারতীয় ভূত বা খাঁটি ভেতো বাঙালি ভূতেদের সঙ্গে কিছু সাহেবভূত মেমভূতও এসে জুটেছেন!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লোকমুখে প্রচারিত, ব্রিটিশ কলকাতাতেই নাকি ভূতের ছড়াছড়ি। একটু গাছপালা-ভরা, একটু আলো-আঁধারিময় এই শহরের বেশ কিছু জায়গায় তেনারা নাকি নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ান। ভূত অতি মাত্রায় কালচার-স্পেশিফিক ব্যাপার। ভূত নিয়ে অন্তত ইংরেজদের দোষ দেওয়া যায় না। তবে, যেটা বলা যায়, সেটা হল, ব্রিটিশদের যোগসূত্রে এদেশে ভেতো বাঙালি ভূতেদের সঙ্গে কিছু সাহেবভূত ও মেমভূতও এসে জুটেছেন। আর তেনারা স্বাধীন ভারতেও যথেষ্ট স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়ান।
সব চেয়ে বড় কথা, যে কোনও অমাবস্যার রাতে এবং বিশেষ করে ভূত চতুর্দশীর দিনে বা এই আজকের হ্যালোউইন-দিনে কলকাতার বেশ কিছু এলাকা বা বাড়ি এড়িয়ে যেতে বলা হয়। কেননা, মনে করা হয়, এই সব জায়গায় সারা বছরই ভূত-প্রেত থাকলেও, এই সব দিনে তেনারাও একটু এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ান।
কেথায় কোথায়? অনেকগুলি জায়গাই আছে। এখানে কয়েকটি জায়গার কথা উল্লেখ করা হল।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি
দুপরেও গা ছমছম করে। রাতে তো ঢোকার উপায় নেই। কিন্তু এ বাড়ি ভূতের বাড়ি বলে নানামুখে নানা ভাবে প্রচারিত। জেনারেল চার্সল মেটকাফের স্ত্রী লেডি মেটকাফের আত্মা নাকি আজও এই বাড়িতে ঘুরে বেড়ায়!
পার্ক স্ট্রিটের কবরস্থান
এখন আর এখানে কবর দেওয়া হয় না। কিন্তু এককালে হত। রমরম করে হত। দিনের বেলায় এখানে অনেকেই ঘুরতে যান। তবে দিন শেষ হয়ে এলে অনেকেরই নাকি গা ছমছম করে।
খিদিরপুর ডক
এখানে নাকি আজও অশরীরী আত্মারা ঘুরে বেড়ায়। অধিকাংশই মৃত নাবিকের আত্মা। অন্য মতে, লক্ষ্ণৌ-থেকে-উৎখান নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ কোনও দিন ব্রিটিশদের ক্ষমা করতে পারেননি। আজও তাঁর অতৃপ্ত আত্মা নাকি ডকের অন্ধকারে ঘুরে বেড়ায়!
আরও পড়ুন: Halloween: হ্যালোইনে হার্লেকুইন, নায়িকাকে দেখে চেনা দায়!
আহিরীটোলা পুতুলবাড়ি
সম্ভবত ১৮০০ সালে তৈরি। আজ এটি এ শহরের অন্যতম হন্টেড হাউস। এ বাড়ির আনাচে কানাচে রয়েছে নানা কিসিমের পুতুলের মূর্তি। বাড়িটে হেরিটেজ হাউসের মধ্যে পড়ে। ভূতের বাড়ির মধ্যেও পড়ে।
ক্লাইভ হাউস
দমদমের ক্লাইভ হাউস। নাগেরবাজারের কাছে। এখন ইতিহাসের খনি। খননকার্য করে অনেক কিছুই পাওয়া গেছে। কিন্তু ভূত তো আর মাটি খুঁড়ে বের করতে হয় না। তাঁরা ছিলেন, আছেন।